‘চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন যাবে তিন পার্বত্য জেলায়’

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
‘চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন যাবে তিন পার্বত্য জেলায়’

চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে যুক্ত নতুন বগি উদ্বোধন করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। 

চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত সহসাই রেল লাইন তৈরির কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। 

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম -ময়মনসিংহ রুটে চলচলকারী ট্রেন বিজয় এক্সপ্রেসের সাদা বগির যাত্রা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ  আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, জান আলী হাট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই হয়ে গেছে। এ রেললাইন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পর কাপ্তাই পর্যন্ত যাবে। এরপর তিন পার্বত্য জেলায় রেললাইনের সংযোগ স্থাপন করা হবে। 

এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম, সিওপিএস (পূর্ব) এস এম সালাউদ্দিন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আবুল কালাম চৌধুরী, আরএনবির রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম, বিভাগীয় চীফ কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী, বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম প্রমুখ।

চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত উল্লেখ করে সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন।

এদিকে আনুষ্ঠাানিক উদ্ধোধনের মধ্যে দিয়ে ভালোবাসা দিবসে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত হলো সাদা চায়না কোচ। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী ট্রেন বিজয় এক্সপ্রেসেও যুক্ত হয়েছে এ চায়না কোচগুলো। এতে করে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে এসি সুবিধা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, উদ্ধোধন হওয়া ঢাকা-নোয়াখালী রুটের ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেসে থাকছে  শোভন চেয়ার, গার্ডব্রেক ও ডাইনিং কার (খাবার গাড়ি) একটি কোচ। এতে আসন থাকবে ২০টি।

এসি চেয়ারের মোট ৬টি কোচ। প্রতি কোচে ৫৫টি করে মোট আসন ৩৩০টি। নন এসি চেয়ার কোচ মোট ৭টি। প্রতি কোচে ৮০টি করে মোট ৪২০টি নন-এসি চেয়ার।

নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে ছাড়ে সকাল ৬টায় ও ঢাকায় পৌঁছায় ১১টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকা থেকে দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছেড়ে নোয়াখালী পৌঁছায় রাত ৯টা ২০ মিনিটে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেসে থাকছে ১৪টি কোচ। এ ট্রেনটি ১৪/২৮ লোডে পরিচালিত হবে। এতে থাকবে এসি গার্ডব্রেক, এসি খাবার গাড়ি, একটি কেবিন, এসি চেয়ার কোচ ৫টি। এতে এসি চেয়ার থাকবে ২৭৫টি। শোভন চেয়ার কোচ থাকবে ৫টি, এতে থাকবে ৩শ’টি চেয়ার।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়