অতীত রেকর্ড ভঙ্গ হবে পলোগ্রাউন্ডের জনসভায়, আশা আওয়ামী লীগের

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ২ ডিসেম্বর ২০২২
অতীত রেকর্ড ভঙ্গ হবে পলোগ্রাউন্ডের জনসভায়, আশা আওয়ামী লীগের

অতীতে চট্টগ্রামের সব জনসভার রেকর্ড ছাপিয়ে পলোগ্রাউন্ডের জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। কেননা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এক কথায় পুরো চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। তাই চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে একটি ঐতিহাসিক জনসভা জাতিকে উপহার দেবে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘এখনই হিসেবটা না বলি। এই হিসেব আপনারা (সাংবাদিক) করবেন। জনসভার পর আপনাদের মুখ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি। তবে চট্টগ্রামে অতীতে অনেক জনসভার ইতিহাস রয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের জনসভা অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টলাবাসীর জন্য অনেক করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রামে একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে সব ইপিজেড মিলিয়ে জায়গার পরিমান প্রায় সাড়ে ৩ হাজার একর। আর মীরসরাইয়ে যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে তার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার একর। চট্টগ্রামে আরও মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের চিন্তা সরকারের আছে। সুতরাং আমি আশা করি, চট্টগ্রামবাসী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে একটি ঐতিহাসিক জনসভা জাতিকে উপহার দেবে। শুধু পলোগ্রাউন্ড নয়, আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হবে।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শুধুমাত্র পলোগ্রাউন্ড নয়; এর আশে পাশের কয়েক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে লোকে লোকারণ্য হবে। চট্টগ্রামবাসি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে জনসভাকে একটি ঐতিহাসিক জনসভায় রুপান্তরিত করে জাতিকে উপহার দিবে।

সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রসঙ্গে, ‘আমাদের জনসভায় দলের সভানেত্রী থাকবেন। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় আমরা সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করছি না, আওয়ামী লীগ আগেও এটা করেনি।’

‘কিন্তু যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাই উনি যেসব জনসভায় যান সেসব জায়গায় বরং আমাদের অসুবিধা হয়। কারণ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার একটি বিষয় আছে। আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এসএসএফ থাকে। যারাই সমাবেশে আসেন, সবাইকে নিরাপত্তার জন্য পরীক্ষা করে তারপর ঢোকানো হয়। অনেকে এই ঝামেলা এড়াতে ভেতরে ঢোকে না। আরও অনেক অসুবিধা আছে।’

আওয়ামী লীগের জনসভা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি কি না জানতে চাইলে স্বপন বলেন, ‘পলোগ্রাউন্ডে বিএনপি যে সমাবেশ করেছে সেটি ছিল বিভাগীয় মহাসমাবেশ। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের জনসভার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি জেলার জনসভা। বিভাগীয় মহাসমাবেশের সঙ্গে জনসভার তুলনা কিংবা পাল্টা কমসূচি হয় না। বিএনপির সমাবেশে তাদের দলের সচিব পর্যায়ের লোকজন থাকেন। আর আমাদের জনসভায় থাকবেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

বিএনপির সমাবেশে সরকার বাধা দিচ্ছে— এমন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য ঢাকার মহামাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও তাদের অভিযোগ সরকার তাদের বাধা দিচ্ছে। তাদের এ বক্তব্য ভিত্তিহীন।’

পলোগ্রাউন্ডের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার কোনো ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা পুরো চট্টগ্রাম শহর জুড়ে মাইকের ব্যবস্থা করেছি। জনসভাস্থলের আশেপাশে এলএইডি টিভির লাগানো হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলার সভাপতি সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়