Cvoice24.com

রাঙামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ১৭ জুন ২০২২
রাঙামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

রাঙামাটিতে ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণা। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন এ নির্দেশনা দিয়েছে। একইসঙ্গে এসব লোকজনের অবস্থানের জন্য নিকটস্থ ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ‘ইতোমধ্যে আমরা জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। শহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে আছেন। আমিও একটু পর মাঠে নামছি।’

এদিকে, গতকাল থেকে সারাদেশের মতো রাঙামাটিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই মুষলধারে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের মাঝে।

ডিসি রাঙামাটি নামে ফেসবুক আইডি থেকে জানানো হয়েছে, রাঙামাটিতে আজ অব্যাহত বর্ষণ হচ্ছে এবং আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু আমাদের রাঙামাটি পাহাড়ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ; সেহেতু যারা ঝুঁকিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করা শ্রেয়। মাত্র ৫ বছর আগে ২০১৭ সালের মর্মান্তিক পাহাড়ধস এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন আমরা ভুলে না যাই। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবক, পৌরসভার কাউন্সিলরগণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি জীবন অমূল্য। 

কাপ্তাই, কাউখালি, নানিয়ারচর উপজেলাসহ অন্যান্য সকল উপজেলায় অনুরূপ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনায় ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর পরের বছর ২০১৮ সালের ১২ জুন জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে ১১ জন মারা যান। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলাতে পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি এলেই পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়