বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন রাঙামাটির মুসল্লিরা

প্রচণ্ড খরা ও তীব্র গরম হতে পরিত্রাণ চেয়ে মুক্তি লাভের আশায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় সালাতুল ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করলেন রাঙামাটিবাসী।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সুন্নি ওলামা পরিষদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় জানাযা প্রাঙ্গণে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ পরিচালনা করেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামা’আত রাঙামাটি জেলার সভাপতি মাওলানা মুস্তফা হেজাজী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুন্নি ওলামা পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার আলেম ওলামাগণ।

নামাজ আদায় শেষে অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এতে মুসল্লিরা চোখের পানি ঝরিয়ে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি কামনা করেন। এরকম কষ্ট যন্ত্রণা থেকে বিশ্বের সকল জীবজন্তুর প্রশান্তি ও সকল জাতি ধর্মের মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য দোয়া করা হয়। 

নামাজ শেষে শফিউল আলম আল কাদেরী বলেন, যাতে পৃথিবীর ও সারা বাংলার মানুষ শান্তি পায় সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া কামনা করেছি। যাতে এই প্রচণ্ড খরা ও তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পাই, আল্লাহ যাতে আমাদের ক্ষমা করে বৃষ্টি দেয় সে জন্য দোয়া করেছি।

নামাজ আদায় শেষে আক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত মানুষ ও পশুপাখির জীবন। হুমকির মুখে ফল ও ফসল। এসময়ে প্রয়োজন রহমতের বৃষ্টি। প্রিয়নবী (সা.) এমন অনাবৃষ্টিতে লোকদেরকে নিয়ে মাঠে বেরিয়ে যেতেন এবং ইস্তিসকা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত আদায় করতেন। আমরাও সেই আমলগুলো পালন করেছি। আল্লাহ যে আমাদের ক্ষমা করেন।

নামাজ পরিচলানা শেষে মাওলানা মুস্তফা হেজাজী বলেন, আল্লাহর রহমতের আশায় সালাতুল ইস্তিসকা নামাজ আদায় করেছি। এই নামাজের মাধ্যমে আশা করবো আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে আমাদের দেশের প্রশান্তির বৃষ্টির পানি নাজিল করবেন।