স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা, আদালতে ‘আসল তথ্য’ জানাবে ওয়াসা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:১০, ৭ এপ্রিল ২০২২
স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা, আদালতে ‘আসল তথ্য’ জানাবে ওয়াসা

চট্টগ্রামের হালিশহরে ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পে শুরু হয়েছে মাটি ভরাটের কাজ।

একের পর এক বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছিল চট্টগ্রাম শহরের প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্প। কদিন আগে মাটি ভরাটের মাধ্যমে কাজও শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন সংস্থা চট্টগ্রাম ওয়াসা। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যায় আবার আটকে গেল প্রকল্পটি।

তবে এখনি হাল ছেড়ে দিচ্ছে না চট্টগ্রাম ওয়াসা। সংস্থাটির দাবি—বাদিপক্ষ আদালতে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। কেননা আগেই এই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে ।

স্যুয়ারেজ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম  বলেন, ‘এই বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল। সেই নিষ্পত্তির কারণেই তো দুই বছর আগে সীমানা দেয়াল করলাম। এখন কাজ শুরুর পর তারা আদালতে গেলেন। আমাদের ধারনা–পুরো বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়নি। আমরা এখনো আদালতের নির্দেশনার কপি পাইনি। সেটি হাতে আসলে–পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

একই কথা বলেছেন প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলমও। তিনি বলেন, বাদীপক্ষ অনেক কিছুই গোপন করেছে। আমরা আসল তথ্যটা আদালতে তুলে ধরব। আশা করছি আদালত আমাদের পক্ষেই রায় দেবেন।’

ওয়াসা সূত্র জানায়, ১৯৬২ সালে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প গড়তে হালিশহরের চৌচালা এলাকায় ১৬৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে সংস্থাটি। তবে বহুদিন ধরে সেই জায়গাটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিল। এতে তৈরি হয় জটিলতা। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় অধিগ্রহণ করা জায়গা ফেরত পেতে এলাকাবাসী ২০০১ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের ভূমি জটিলতা সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়ালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তা সমাধান হয়। কিন্তু সমস্যা রয়েই যায়। ২০২০ সালে সীমানাপ্রাচীরের কাজ করতে গেলে বাধা দেয় সিডিএ। অবশ্য এরপর সমাধান হলে সীমানাপ্রাচীর তৈরি করে। আর এই মাসের শুরুতে কাজও শুরু করে দেয়।

এর মধ্যেই ৪ এপ্রিল শুনানি শেষে গতকাল বুধবার এই প্রকল্পের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে বাদির অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে আদেশে।

প্রকল্পের জায়গায় স্থানীয়দের জায়গা আছে বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী। তিনি বলেন, এ জায়গা নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে অন্যথায় স্থানীয়দের জায়গা স্থানীয়দের বুঝিয়ে দিতে হবে। এই অধিকার আদায়ে আমরা মামলা করেছিলাম। আদালত মামলার শুনানি শেষে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।’

এখন দেখার বিষয়—বিষয়টি কতদূর গড়ায়।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়