Cvoice24.com

কেজিডিসিএলের প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প/
এবার ‘জটিলতা’ ঠিকাদার নিয়োগে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
এবার ‘জটিলতা’ ঠিকাদার নিয়োগে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পে এবার ‘জটিলতা’ দেখা দিয়েছে ঠিকাদার নিয়োগে। শর্ত পূরণ করতে না পারায় দরপত্র মূল্যায়নে টিকতে পারেনি আন্তর্জাতিক দুই সংস্থা। চলতি মাসের ১২ তারিখের বোর্ড সভায় বাতিল হয়েছে জাপানের টইকিকি ও চায়নার এক্সিম নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র। প্রকল্পের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসেও ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এরআগে একইভাবে শর্ত পূরণের বেড়াজালে পড়ে প্রায় দুই বছর পর পুনঃদরপত্রে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পায় ডিটিসিএল নামে একটি সংস্থা। ২০২২ সালের মে মাসে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি হয় কেজিডিসিএলের।

জানা গেছে, গেল বছরের ১৪ আগস্ট ঠিকাদার নিয়োগে পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। ২৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমাদানের শেষ সময় থাকলেও ঠিকাদারদের অনুরোধে নভেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। ওদিনই দরপত্র খোলা হয়। জাপানের টইকিকি ও চায়নার এক্সিম নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। তবে শর্ত পূরণ করতে না পারায় জাপানের টইকিকি ও চায়নার এক্সিম নামে দুই প্রতিষ্ঠানেরই দরপত্র বাতিল হয়।

কেজিডিসিএলের প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম সিভয়েসকে বলেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের শেষ হতে আরও ৬ মাস বাকি। আমরা গত ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করেছিলাম। আন্তর্জাতিক দুটি সংস্থা এতে অংশ নেয়। তবে শর্ত পূরণ করতে না পারায় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের দরপত্র বোর্ড সভায় বাতিল হয়েছে। আমরা নতুন করে দরপত্র আহ্বান করবো। আশা করছি শিগগিরই ঠিকাদার নিয়োগ হবে। এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের জন্য আবেদন করেছে। প্রয়োজন হলে প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান কেজিডিসিএলের কর্মকর্তা।

‘আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প’ শিরোনামে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে এক লাখ মিটার স্থাপনের জন্য প্রকল্প হাতে নেয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সংস্থাটির নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত ও গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করা।

২০২১ সালের ১৮ মে প্রকল্পটি প্রশাসনিক অনুমোদন পায়। এরপর পরামর্শক সংস্থা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওইসময় দরপত্র করা হলেও শর্ত পূরণ না করায় ওই বছরের অক্টোবর মাসে পরামর্শক সংস্থা নিয়োগের জন্য পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের মে মাসে ডিটিসিএল নামে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়। পরামর্শক সংস্থাটি নতুন প্রকল্পের রিচার্জ সিস্টেম, সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টসহ আইটি বিষয়ক কাজের সমন্বয় করবে এবং মিটার ইন্সটলেশনের কারিগরি দিক নিয়ে পরামর্শ দেবে। এছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাজ করছে কিনা, তা দেখভাল করবে। প্রকল্প হাতে নেওয়ার দেড় বছর পর গত ১৪ আগস্ট ঠিকাদার নিয়োগে পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। 

সিভয়েস/ ডিসি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়