Cvoice24.com

হাসিল তুললে ইজারাদারকে পুলিশে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ মেয়রের পিএসের বিরুদ্ধে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হাসিল তুললে ইজারাদারকে পুলিশে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ মেয়রের পিএসের বিরুদ্ধে

হাসিল তুললে ইজারাদারকে পুলিশে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিযোগ গড়িয়েছে মেয়র থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এক বছরের জন্য বিবিরহাট কাঁচা বাজার দরপত্রের মাধ্যমে চসিক থেকে ইজারা নিয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। গত ৬ মার্চ বাজার ইজারা পাওয়ার পর এপ্রিলে কর্পোরেশনের পাওনা, অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ তহবিলের টাকা পরিশোধ করেন ওই ইজারাদার। এরপরই ইজারা তোলার অনুমতি দিতে গড়িমসি শুরু করে চসিক। ইজারাদারের বারবার তাগাদার পর গত ২৪ জুলাই অনেকটা ‘বাধ্য’ হয়েই অনুমতিপত্র দেয়। পরে হাসিল তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়ে ওই ইজারাদার। বিষয়টি নিয়ে মেয়রের দ্বারস্থ হলে ২৬ আগস্ট এস্টেট অফিসার ও মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম চৌধুরী হাসিল তুলতে বলেন। কিন্তু ঠিক তার ৯ দিন পর ৪ সেপ্টেম্বর মেয়রের একান্ত সচিব ইজারাদারকে ফোন করে জানান, হাসিল না তুলতে; সিটি করপোরেশনের লোকই হাসিল তুলবে। যদি ইজারাদার হাসিল তুলে তাহলে তাকে পুলিশে দেবে। পরদিন ইজারাদার মঙ্গলবার বিকেলে বাজারে গিয়ে দেখেন এস্টেট বিভাগের বাজার পরিদর্শক রফিক নুরুল বশর বিপু ও হায়দার নামের দুজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসিল তুলছে। এ নিয়ে আবারও মেয়রের দ্বারস্থ হন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম। ১০ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন, যার অনুলিপি দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরবারে।

ইজারাদার সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আকতার হোসেন সিভয়েসকে বলেন, মূল ইজারাদার হলেন আমার ছোট ভাই। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় আমাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে বিষয়গুলো আমি দেখছি। কিন্তু ৪ মাস ধরে কোন হাসিল তুলতে পারছি না। চসিকের লোকজন টাকা তুলছে। এরমধ্যে মেয়রের পিএস হাশেম সাহেব টাকা তুললে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। গত চারমাসে ৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা মেয়রকে জানিয়েছি, আজ প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। তবে তিনি ঢাকা যাওয়ার কারণে সেটি বাতিল হয়েছে।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম বলেন, পার্টনারদের সঙ্গে ঝামেলার কারণে মূল ইজারাদার হাসিল তুলতে পারছিলেন না। এ নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে ইজারাদারকে হাসিল তোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। এরমধ্যে ইজারাদারের পার্টনাররাই মেয়র মহোদয়ের কাছে আরেকটি অভিযোগ করেন। মেয়রের নির্দেশে আমি কাউন্সিলর, পুলিশকে নিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করেও পারিনি। এরমধ্যে বাজারে তাদের মধ্যে ঝামেলা লেগে গেলে আমি এস্টেট বিভাগকে বলেছি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষই টাকা তুলতে পারবে না। বর্তমানে এস্টেট বিভাগের পক্ষ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। সমাধান হলে টাকাগুলো ইজারাদারের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। 

তবে বাজার ইজারায় কোন অংশীদার নেই বলে দাবি করেছেন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই আকতার হোসেন। তারা বলেছেন, আমাদের কোন পার্টনার নেই, পার্টনার থাকলে চুক্তি থাকবে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।

এসব বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়