Cvoice24.com

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে `ম্যাজিক`
এলইডি বাতি বাজারে ৫ হাজার, কেনা হলো ২৭ হাজারে

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪
এলইডি বাতি বাজারে ৫ হাজার, কেনা হলো ২৭ হাজারে

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান করেন তারা। অভিযানে এলইডি লাইটসহ নানা প্রকার যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়ম পেয়েছে দুদক টিম।৫ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দামের একটি এলইডি বাতির ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ২৭ হাজার ৭০০!

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল অফিসে দুদক চট্টগ্রামের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

 
জানা গেছে, দুদক টিম ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কিনেছে রেল। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন বলে অবহিত করেছে দুদক। মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যা প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। 

এছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের উপর ভিত্তি করে এসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো দলিল পায়নি দুদক। 

এরপর দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকোশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহ করার জন্য জন্য সিওএস এর দপ্তরে গেলে সেখান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক টিম। এতে জানা যায় প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। যা অসংগতিপূর্ণ বলছে দুদক। 

একই টিম পরে পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরএ্যাণ্ডআই এর মেরামতকৃত কক্ষ পরিদর্শন করেন। ওয়াকিটকি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়