কাঠ ব্যবসায়ীর চিনির কারবার

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
কাঠ ব্যবসায়ীর চিনির কারবার

বাইরের সাইনবোর্ডে লেখা ‘ডিজাইন নকশা ঘর’। ভেতরে অবৈধভাবে মজুত করা বস্তায় বস্তায় ভারতীয় চিনি। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকায় এই ফার্নিচার কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬শ বস্তা চিনি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক করা হয়েছে ওই কারখানার মালিক মো. আব্দুর রব্বানকে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের, চান্দগাঁও থানার এসআই রিয়াদ-উছ সালেহীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এবং ভূমি অফিসের কর্মচারীরা।

আটক মো. আব্দুর রব্বান (৪৫) চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার পূর্ব কুচুখাইন এলাকার মৃত ফজল আহম্মেদের ছেলে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী সিভয়েস২৪-কে বলেন, কারখানার মালিক চিনি কেনার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। মজুদ করা এসব চিনি কোনো অনুমোদন ছাড়াই রাখা হয়েছে ফ্রেশ ব্র্যান্ডের বস্তায়। ওই কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি তাদের নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ পরে কারখানার মালিক মো. আব্দুর রব্বানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী আইনানুগ নিষ্পত্তি পর্যন্ত জব্দকৃত চিনির নিরাপত্তার জন্য চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এদিকে, ওই কারখানার জায়গার মালিক জানিয়েছেন, ওই জায়গা ভাড়া নেওয়ার সময় ব্যবসায়ী আব্দুর রব্বান তাকে জানায়, তিনি (ব্যবসায়ী) সেখানে ফার্নিচার কারখানা করবেন। তবে ভাড়া নেওয়ার কয়েকদিন পর জানায়, তার চিনির ডিলার রয়েছে। তাই কয়েকদিনের জন্য কয়েক বস্তা চিনি কারখানার মধ্যে রাখা হবে। পরে আজ জানতে পারলাম তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব চিনি মজুদ করেছেন। এছাড়া এসব চিনি যে ভারতীয় চিনি এবং অবৈধ চিনি তা আগে জানতাম না তিনি।

এদিকে, গত ২১ এপ্রিল নগরের বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করা ৫শ’ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে র‍্যাব-৭। এসময় মো. বোরহান আলমদার (২৭) নামে এক অসাধু ব্যবসায়ীকে আটকের পাশাপাশি চিনি পরিবহনে ব্যবহৃত লরিটিও জব্দ করে।

ওই ব্যবসায়ী পটিয়া উপজেলার আলমদার পাড়ার মো. আমিন শরীফের ছেলে। ৫শ’ বস্তা (২৫ মেট্রিক টন) ভারতীয় চিনির (৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা) শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়