পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নাইখাইন গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর রাতের আঁধারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর চৌধুরীর ছেলে মিজানুর রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তাঁকে বাঁচাতে এলে এসএম হোসেন নবী টুটুল নামে আরো এক যুবককে ধারালো কিরিচ ও লাঠি সোটা দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়।  এতে মিজানুরের একটি হাত ভেঙ্গে যায়। টুটুলের মাথায় গুরুতর আঘাত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয় শওকতের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।  

হামলায় গুরুতর আহত টুটুল কালারপুল এলাকার বেসরকারি কারখানা কিং স্প্রিং এর হিসাব শাখার সহকারি ব্যবস্থাপক এবং মিজান চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের কর্মচারী বলে জানা গেছে।

মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর চৌধুরীর অভিযোগ, প্রতিবেশী আখতার হোসেন ও তার ভাইয়েরা সীমানা নিয়ে বছরের পর বছর তাদের ওপর জুলুম করে আসছে। গ্রাম্য সালিশে এবং আদালতের রোয়েদাদ অনুযায়ী তারা নিজেদের জায়গায় অবস্থান করছে এটা প্রমাণিত। এরপরও তাদের জায়গা দখলে নানা অপচেষ্টা ও তাদের প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এসব ঘটনায় থানায় একাধিক জিডিও রয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আখতার হোসেনের ভাই শওকতের নেতৃত্বে তার ভাই নাজমুল হোসেন নসু, বখতেয়ার হোসেন ও তার ছেলে ফারদিন অতর্কিতে মিজানুর রহমানের ওপর লাঠি-সোটা ও দা-কিরিচ নিয়ে হামলা করে। চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এলে টুটুলের ওপরও হামলে পড়ে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। টুটুল বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে অভিযুক্ত শওকতসহ একাধিকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়