কালুরঘাট সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবিতে অনশন ও গণজমায়েত
ছবি সিভয়েস
চট্টগ্রামের আরাকান সড়কস্থ বৃটিশ সরকার নির্মিত কালুরঘাট সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ও মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের গণমানুষের কাঙ্খিত কর্ণফুলী দ্বিতীয় সড়ক সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবিতে অনশন ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বোয়ালখালী উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে বোয়ালখালীর কালুরঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচি শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে । এতে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
দৈনিক ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার মানুষ মেয়াদোত্তীর্ণ এ সেতু দিয়ে পারাপার করছে। প্রতিদিন এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ঘটছে কোনো না কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। কিন্তু তারপরও নেই কোনো উদ্যোগ। বারবার আশাহত হচ্ছে বোয়ালখালী উপজেলার মানুষ। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া এলাকাবাসী বলেন, বৃটিশ সরকার নির্মিত এ কালুরঘাট সেতুটি দীর্ঘদিন আগে মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে। কোন রকম সংস্কার করে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ পারাপার হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, একমুখী সেতুর কারণে উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আর প্রতিদিন এ কারণে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। অনেক অসুস্থ রোগীকে এ যানজটের ফাঁদে পড়ে হারাতে হয় প্রাণ। অনেক ছাত্র-ছাত্রী ঠিক সময়ে লাইন না পাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারে না কলেজে বা পরীক্ষা কেন্দ্রে। চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের একটাই দাবি, যাতে দ্রুত নির্মিত হয় এ কালুরঘাট সেতু।
অনশনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব হারুন মিয়া সিভয়েসকে বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে দেশ রক্ষায় এগিয়ে এসেছি। যদি কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য নিজেদের রক্তও দিতে হয় তাতে ও আমরা প্রস্তুত! দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দাবি অবিলম্বে কালুরঘাট সেতু দ্রুত নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন।
পরে চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল এমপি অনশন স্থলে উপস্থিত হন এবং অতিশীঘ্রই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশনকারীদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে অনশন ভাঙান।
-সিভয়েস/এমএম/এসএ
সিভয়েস প্রতিবেদক