বিশ্ব ডাক দিবস আজ
‘থাবার’ মুখে ডাক বিভাগের ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
৩৬ শতকের বেশি জমি। মৌজা দরে হিসেব করলে দাম পড়ছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। স্থানীয় বাজারমূল্যে আদতে তা প্রায় ৬০ কোটিরও বেশি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা ডাকঘরের দামি সরকারি সম্পত্তি ‘দরিয়ায়’ ফেলে রেখেছে ডাকবিভাগ। চারিদিকে ঝোপঝাড় আর ঠুনকো নিরাপত্তা দেয়াল নিয়ে ‘হাঁটু গেড়ে’ বসে রয়েছেন সবাই। অথচ বছর চারেক ধরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পে নিয়ে কোটি টাকার এ সম্পত্তি গিলে খেতে ‘কলকাঠি’ নেড়ে আসছে স্থানীয় একটি ভূমিখেকো চক্র।
জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার থানা সড়কে ৩৬ শতকেরও বেশি জায়গাজুড়ে উপজেলা ডাকঘর। পুরনো ভবন থেকে ডাকঘর নতুন ভবনে সরিয়ে নেওয়া হলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে পুরনো ভবনটি। ফলে ডাকঘরের চারিদিকে ব্যাপক খালি জায়গার সৃষ্টি হয়। একদিকে ওই জায়গা বছরের পর বছর ধরে অনেকটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ঝোপঝাড় বানিয়ে রাখে ডাকবিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ঝোপঝাড়কে পুঁজি করে ওই জায়গায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন তোলার প্রস্তাব নিয়ে ডাকভবনে তদবির শুরু করে ভূমিখেকো চক্রটি। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকলেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কখনো সহযোগিতা চায়নি উপজেলা ডাকঘরের কোন কর্মকর্তা। এদিকে পৌরসভার রাস্তা সংস্কারের ফলে নিরাপত্তা দেয়ালের বেশিরভাগ অংশ রাস্তার নিচে চলে যায়। যার কারণে নিরাপত্তা দেয়াল পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়ে।
ডাকবিভাগ বলছে, এখন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের দিন শেষ। পুরো সম্পত্তি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার চন্দ্রনাথ আচার্য্য, ‘এখন পর্যন্ত জমি বরাদ্দ নিতে তৎপরতার কোন খবর আমার কানে আসেনি। পুরো জায়গাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে নিরাপত্তা দেয়াল কিছুটা ছোট, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঝোপঝাড় পরিস্কারের জন্য লোক খুঁজছি। তবে বৃষ্টি বাদলের দিনে সম্ভব হচ্ছে না।’
চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ছালেহ আহমদ সিভয়েস২৪’কে বলেন, নিরাপত্তা দেয়াল সংস্কারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি। একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে দিয়ে পুরো জায়গা পরিমাপ করে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি।’