Cvoice24.com

মুরগির দৌড় লাগামহীন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ৯ মার্চ ২০২১
মুরগির দৌড় লাগামহীন

ভোগ্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে বয়লার ও সোনালী মুরগির দাম।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে বয়লার ও সোনালী মুরগির দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২৫ টাকা। মুরগির এই ঊর্ধ্বমুখী দামে মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। স্বাদ বদলের আশায় যারা ডিম বা মাছের বদলে মুরগির মাংস পছন্দ করেন, এই চড়া দাম তাদের কিছুতেই স্বস্তি দিচ্ছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রয়লার মুরগির চেয়ে অনেক বেশি হারে বেড়েছে সোনালী মুরগির দাম। এর কারণ এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য সোনালী মুরগি কেনা হচ্ছে। পাশাপাশি রেস্টুরেন্টগুলোতেও বাড়ছে মুরগির চাহিদা। অন্যদিকে খামারে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনও কমে গেছে। এতে করে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) নগরের কাজির দেউড়ি ও রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। তাছাড়া দেশি মুরগি ৪০০ ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়।

নগরের আগ্রাবাদের বাসিন্দা গৃহিণী রোজিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের পক্ষে প্রতিদিন মাংস খাওয়া সম্ভব না। ছেলে-মেয়েদের আবদার পূরণ করতে সপ্তাহে একদিন মাংস খাওয়ার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে আমাদের ভরসা ব্রয়লার মুরগি। এই ব্রয়লার মুরগির দাম কম থাকলে স্বস্তিতে থাকি কিন্তু দাম বাড়লে মাংস খাওয়াও কষ্টকর হয়ে যায়।’

মুরগির দাম শুনে হতাশা প্রকাশ করে বেসরকারি চাকরিজীবী ইমাম হোসেন বলেন, ‘আমার বাসার সবাই সোনালী মুরগি খেতে পছন্দ করে। কিন্তু এক কেজি সোনালী মুরগি কেউ ৩৫০ টাকা, আর কেউ ৩৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। আগে তো এই মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে কিনেছি। যে হারে দাম বেড়েছে তাতে সোনালী মুরগি কেনা সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে ১৫৫ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। চাল, তেলের অস্বাভাবিক দামের মধ্যে এখন মুরগির দাম হু হু করে বাড়ছে। এইসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে যেন কেউ নেই।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী মো. রিদুয়ান বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকায় ফার্মের মুরগির দাম এখনও বাড়তি। বেশি বিক্রি হয় ফার্মের মুরগি। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা পর্যন্ত। তবে বাজারে মুরগির সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে যাবে।’

কাজীর দেউড়ির মুরগি ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, ‘আমাদের বাড়তি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে, তাই বাড়তি দামে বিক্রি করছি। পাইকারি বাজারে এখন মুরগি কম আসছে। শুনছি খামারে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। তাই আমাদের এখন কিছু করার নেই।’

-সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়