ভরা মৌসুমে ইলিশের খরা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৬ আগস্ট ২০২২
ভরা মৌসুমে ইলিশের খরা

আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন— ধরা হয়ে থাকে এই চার মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। এখন চলছে শ্রাবণ। কিন্তু জেলেদের জালে মৌসুম অনুপাতে ইলিশ নেই। প্রতি বছর এ সময়ে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের ইলিশ বেচাকেনায় থাকতো দৌড়ঝাঁপ। তবে এবার ভিন্ন চিত্র চট্টগ্রামের ঘাটগুলোতে।

চট্টগ্রামের রাসমনি ঘাট, আনন্দবাজার ঘাট, উত্তর কাট্টলি, দক্ষিণ কাট্টলি, আকমল আলী ঘাটের জেলেদের এখন ব্যস্ত সময় পার করার কথা থাকলেও কোন হাঁকডাক নেই। শুক্রবার (৫ আগস্ট) ঘাটগুলো ছিল অনেকটা ইলিশ ফাঁকা। বাজারে যে কিছু ইলিশের দেখা মিলেছে তার বেশিরভাগই বরফে রাখা।

আগ্রাবাদ থেকে রাসমনি ঘাটে মাছ কিনতে এসে ফারাবি বলেন, ২৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসলাম। ভেবেছিলাম ৭ কেজির মতো মাছ নিয়ে ঘরে ফিরবো। কিন্তু এখানে দেখছি তাজা কোন মাছ নেই। যা দেখছি আগের ফ্রিজের মাছ। আর আকারেও ছোট।

জেলেরা বলছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ইলিশ ধরতে গিয়ে বেকায়দায় পরেছেন তারা। সাগরে মৌসুম অনুপাতে ইলিশ ধরা পড়ছে না। যা ধরা পড়ছে তাও আকারে ছোট। ফলে ভালো দাম ধরা যাচ্ছে না।

তাদের মতে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় কোন লাভ হয়নি। বেশির ভাগ বড় ইলিশ পার্শ্ববতী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা শিকার করে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে মাছ বড় হওয়ার আগেই জালে আটকা পড়ছে ছোট আকারের ইলিশ। এছাড়াও বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ইলিশের বিচরণের পরিবেশ থাকছে না বলে মনে করছেন তারা।

দক্ষিণ কাট্টলী জেলে সর্দার খেলন দাশ বলেন, এখন ঢালা মৌসুম। আগামী তিন চারদিন এরকম চলবে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সাগরে জাল ফেলে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা বড় বড় মাছ ধরে নিয়ে গেছে। একবার সাগরে যেতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু সে হিসেবে মাছ আসছে না। অনেকে দাদন নিয়ে সাগরে নেমে মাছ না পেয়ে বাপ-দাদার পেশা বদলাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী সিভয়েসকে বলেন, কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে আমরা সচেতন রয়েছি। দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে।

-সিভয়েস/ডিসি/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়