Cvoice24.com

রাঙ্গামাটি মেডিকেলের জন্য ‘বাড়তি ব্যয়’ প্রস্তাব

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ২৪ মার্চ ২০২৪
রাঙ্গামাটি মেডিকেলের জন্য ‘বাড়তি ব্যয়’ প্রস্তাব

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্পে নানা খাতে বাড়তি ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এতে আপত্তি দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ২৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী বলেন, ‘পিইসি সভায় এসব বিষয়ে আলোচনার পর সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এই প্রস্তাবের অবস্থা কী সেটি আমি বলতে পারব না। কেননা ইতোমধ্যে আমি আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ থেকে বদলি হয়েছি। তবে উন্নয়ন প্রকল্পে বাড়তি ব্যয় বিষয়ে আমরা খুবই সচেতন। পরিকল্পনা কমিশন সবসময় চেষ্টা করে যাতে অহেতুক কোনো ব্যয় না হয়।’

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচিতে নেওয়া সমন্বিত পদক্ষেপের ফলে সবার জন্য আর্থিক নিরাপত্তাসহ সমতাভিত্তিক গুণগত মানের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে, যা ইউনিভার্সেল কভারেজ (ইউএ্চইসি) এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। বর্তমানে দেশে ৩৭টি সরকারিসহ মোট ১১৩টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। প্রতিবছর মেডিকেল কলেজে ১০ হাজার ১৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। দেশে ডাক্তারের অনুপাত প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মাত্র ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রেজিস্টার্ড নার্স ও মিডওয়াইফের অনুপাত প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার ৪ দশমিক এক শতাংশ। যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তুলনায় অনেক কম।

এ ছাড়া দেশে প্রতি ১০ হাজার জনংখ্যার জন্য হাসপাতাল শয্যা সংখ্যা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, যার মধ্যে সরকারি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও বেসরকারি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সর্বোপরি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষায়িত হাসপাতাল না থাকায় জটিল রোগের গুণগত মানের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার হার প্রত্যাশার তুলনায় কম। মেডিকেল ও নার্সিং গ্রাজুয়েটের চরম সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নতুন মেডিকেল ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।

প্রস্তাবে আরও বলা, বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদফতর এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করে। এর ওপর গত বছরের ৮ আগস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রকল্প যাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে এটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়