চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ভবিষ্যৎ জানা যাবে ১৮ মাস পর

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ভবিষ্যৎ জানা যাবে ১৮ মাস পর

সিকের অস্থায়ী কার্যালয় নগরীর টাইগারপাস ভবনে বৈঠকে বসেন চসিক মেয়র রেজাউল ও দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর নতুন গতি পেয়েছে চট্টগ্রামের মেট্রোরেলের স্বপ্ন। এ নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠক হয়েছে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের। এর ঠিক একদিনের মাথায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে বৈঠকে বসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। এ বৈঠকে জানানো হয়েছে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সমীক্ষা করতে সময় লাগবে ১৮ মাস।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চসিকের অস্থায়ী কার্যালয় নগরীর টাইগারপাস ভবনে বৈঠকে বসেন চসিক মেয়র রেজাউল ও দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নড়চেড়ে বসে। তারা বিয়ষটি নিয়ে কয়েকটি চীনা সংস্থাসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকও করে। যদিও শেষ পর্যন্ত চীনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নয় ; কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই চট্টগ্রামের মেট্রোরেলের প্রাথমিক কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কোইকা। এতে কোরিয়া সরকারের অনুদান থাকছে ৫১ কোটি টাকা আর ২৬ কোটি টাকা দিবে বাংলাদেশ সরকার।

এদিকে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে মেয়র রেজাউল বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার নেপথ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী এই দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষভাবে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা’র সহায়তায় প্রকল্পের প্রাথমিক সমীক্ষা কার্যে ৫১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিকাশ ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কোইকা’র সহযোগিতায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পে নগরীর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এই সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় ১৮ মাস সময় প্রয়োজন হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, , প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারী জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকা’র প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান এসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।


এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়