Cvoice24.com

সালেহ স্টিল গিলে খাচ্ছে রুবি গেটের পরিবেশ 

তারেক মাহমুদ ও দেবাশীষ চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উপরে তাকালে দেখা যায় গলগল করে বের হচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, আর নিচে সড়ক, যানবাহন, ভবন সবকিছু ধোঁয়ার আঁধারে ঢাকা। খোলা চোখেও মনে হয় যেন সূর্যকেও ঢেকে দিচ্ছে ইস্পাতের কালো ও ধূসর ধোঁয়া। শুধু মানুষ নয় মনে হবে যেন নগরীও ধুঁকছে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণায়। এ দৃশ্য চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের রুবি গেইট এলাকার। এখানে লোহার রড তৈরির দুটি কারখানা আছে, বায়েজিদ স্টিল লিমিটেড ও সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ। বায়েজিদ স্টিল ধোঁয়া নির্গমনের জন্য চিমনি ব্যবহার করে বলে তাদের নিয়ে তেমন অভিযোগ না থাকলেও সালেহ স্টিলকে নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এলাকাবাসীরা। শুধু পরিবেশ দূষণই নয়, সালেহ স্টিল প্রভাবিত করছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনকেও। 

দুই কারখানার দূষণ নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরেজমিন অনুসন্ধান করে সিভয়েস টিম। এ সময় দেখা যায়, দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন রুট সড়কের রুবি গেইট এলাকায় মূল সড়কের একপাশে সালেহ স্টিল এবং অপরপাশে বায়েজিদ স্টিল অবস্থিত। বায়েজিদ স্টিল  সকাল ও বিকালের দিকে ধোঁয়া ছাড়লেও উঁচু চিমনি ব্যবহার করে ফলে তা মূল সড়কের দিকে খুব একটা আসে না। অন্যদিকে সালেহ স্টিল প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় কুণ্ডলী আকারে ধোঁয়া ছাড়ে এবং চিমনি থাকলেও তারা তা ব্যবহার করে না। ফলে ধোঁয়াগুলো মূল সড়কে চলে আসে। এসব দেখে মূল সড়ক ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন বলে দৃষ্টিভ্রম হবে যে কারও।

সালেহ স্টিলের ছাড়া ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে সড়ক

স্থানীয়রাও অভিযোগ তুলেছেন সালেহ স্টিল কারখানার উপর। তারা বলছেন, মূল সড়কে যে ধোঁয়াগুলো আসছে তার ৮০ শতাংশই সালেহ স্টিল থেকে। কারখানাটির ২০ ফুট দূরত্বের মধ্যে রয়েছে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও আবাসিক ভবন। আশপাশে রয়েছে রুবি ফুড প্রোডাক্টসসহ বিভিন্ন খাবার দোকান, যানবাহনের যন্ত্রাংশের দোকান, ওয়ার্কশপ, মুদি দোকানসহ আরও প্রতিষ্ঠান। এ ধোঁয়ার কারণে শুধু বায়ু দূষণ নয় মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে ওই এলাকার মানুষেরা। স্থানীয় লোক ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দফায় দফায় অভিযোগ দেওয়া হলেও তা কানে তুলছে না কারখানাটির কর্তৃপক্ষ। 

রুবি গেইট এলাকার মানুষেরা যা বলেছেন 

সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর এলেকসসেস সেরাও সিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের পরিবেশটা খুব সুন্দর। কিন্তু আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হলো স্কুলের পাশে গড়ে ওঠা কারখানাটি। তাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার সময় যে ধোঁয়া বের হয় সেটা সরাসরি স্কুল পর্যন্ত আসে। সকালবেলা আমাদের স্কুল ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। বলতে গেলে কিছুই দেখা যায় না। এ সময়ে বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হয়, শিক্ষকদেরও কষ্ট হয়। ধোঁয়ার ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমারা প্রায় স্কুলের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখি। শুধু স্কুল নয়, এখানে আশেপাশে অনেক আবাসিক এলাকা রয়েছে। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।’

রুবি গেইট এলাকার ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিভয়েসকে বলেন, ‘দুপুরের খাবারের সময় আমরা বের হলে এত ধোঁয়া দেখতে পাই, কী বলব খুব বাজে অবস্থা। সালেহ স্টিল সন্ধ্যার দিকে ধোঁয়া বেশি ছাড়ে। তখন ৫-৭ ফুটের দূরত্বে কিছুই দেখা যায় না। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। উনারা কিভাবে যেন সবকিছু ম্যানেজ করে কারখানা আবারও চালু করে। আমাদের অফিসের সবকিছু বন্ধ থাকায় কিছু বোঝা যায় না, কিন্তু বাইরে গেলেই বিপাকে পড়ি। এমনিতেই সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে, তার উপর এটা বাড়তি কষ্ট।’

ছবি দেখে মনে হচ্ছে শীতের সকালে নগরের কোন পথ, আদতে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যাওয়া রুবি গেইট এলাকা।

অপর এক ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, এটা যেহেতু শিল্প এলাকা ধোঁয়া তো থাকবে। তার সীমা থাকতে হয়। কিন্তু এখানে ২৪ ঘণ্টাই কুয়াশাচ্ছন্ন ধোঁয়া থাকে। মাঝে মাঝে এতবেশি ধোঁয়া বের হয় যে মুখে হাত চেপেও ধোঁয়া আটকানো যায় না। মানুষ অনেক বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছে। ঊর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে তারা আবার কারখানা চালু কর দেয়। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিপ্তরও তাদের সাথে পেরে ওঠে না। একটা প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছে একটা শহরের প্রশাসন এভাবে জিম্মি হয় যাবে এটা ধারণারও বাইরে।

চা বিক্রেতা মো. স্বপন বলেন, আমি ১৪ বছর ধরে এ এলাকায় চা বিক্রি করছি। তিন বছর আগে ঢাকার এক ব্যবসায়ী সালেহ স্টিল নামের ফ্যাক্টরিটা কিনে নেন। এরপর থেকেই এ অবস্থা। দিনের বেলায় ধোঁয়ার কারণে একদম অন্ধকার হয়ে যায়। আমার খাবারগুলোও ধোঁয়ার ময়লা বলে মনে হয়। সারাদিন ধোঁয়ার মধ্যে থাকি। প্রচণ্ড মাথাব্যথা করে, রাতে ঘুমাতে পারি না। 
ওই এলাকায় ওয়ার্কশপে কাজ করা শ্রমিক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘সারাদিন ওয়ার্কশপে কাজ করি। এখানে বেশি ধোঁয়া হলে পুরো জায়গাটা অন্ধকার হয়ে যায়। কালো ধোঁয়ায় আমাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কাজের অসুবিধা হয়। অনেক সময় আমরা কাজ ছেড়ে অন্যদিকে চলে যাই। ধোঁয়া কমলে ফিরে এসে আবার কাজ শুরু করি।

দিনমজুর আব্দুর রহিম বলেন, ‘সারাক্ষণ ধোঁয়া বের হতে থাকে। অথচ এ রাস্তা দিয়ে কত বড় বড় অফিসাররা যায়। তারা তো কিছুই বলে না।’ 

বায়েজিদ শিল্প এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা কাঁচামাল আনা-নেওয়া করেন কাভার্ডভ্যান চালক শরিফ। তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘আমি ১২ বছর এ এলাকায় গাড়ি চালাই। আমার পরিবারও এখানে থাকে। এখানে ৩টা ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে লোকসানে পড়ে একটি বন্ধ হয়ে যায়। বাকি দুটি চালু আছে। এরমধ্য সালেহ স্টিল বেশি ক্ষতি করছে আমাদের। সারাদিনে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ধোঁয়া ছাড়লেও বিকালবেলা সবচেয়ে বেশি ধোঁয়া ছাড়ে। এলাকার সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী সবার অসুবিধা হয়। আমাদের গাড়ি চালাতেও সমস্যা হয়।’

স্থানীয় মুদি দোকানি রহিম উল্ল্যাহ বলেন, ‘এখানে শিল্প কারখানার পাশাপাশি বিভিন্ন অফিস, দোকানপাট আছে। সকাল ৮টার পর এবং বিকাল ৪টার পর এমনভাবে ধোঁয়া বের হয় মানুষ বের হতে পারে না। বাধ্য হয়ে অনেকে আবার ভেতরে ঢুকে যায়। কেমিক্যাল দিয়ে যখন লোহা গলায় তখন সবচেয়ে বেশি ধোঁয়া বের হয়। এগুলো কেমিক্যাল মিশ্রিত ধোঁয়া। আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। 

রুবি ফুড প্রোডাক্টসের প্রধান নিরাপত্তা প্রহরী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটা সালেহ স্টিলের সাথে একেবারেই লাগোয়া। আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ আমরা ময়দা তৈরি করি। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ধোঁয়ায় কালো কোন উপাদান থাকে যে কারণে আমাদের তৈরি করা ময়দার রঙ নষ্ট হচ্ছে। আমরা কয়েকবার নোটিশ দিয়েও লাভ হয়নি। 

স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে জানালেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. নাজমুল হাসনাইন নওশাদ সিভয়েসকে বলেন, বহির্বিশ্বে যে মানের শিল্পায়ন হয়, আমাদের দেশে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে সে মান বজায় রাখা হয় না। কারখানার ধোঁয়া মানুষের শরীরে তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। বিষাক্ত বাতাসে শতকরা ২১ ভাগ অক্সিজেন থাকার কথা। কিন্তু বিষাক্ত গ্যাস যখন মিশছে সেখানে তারতম্য হয়ে যাচ্ছে। সে বাতাস যখন আমরা টেনে নিচ্ছি তখন সেটা ফুসফুসের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

অপরদিকে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের ক্ষেত্রে কাশি হওয়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সারের মত রোগ হবে। অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে ফুসফুসের পর্দাটা শক্ত হয়ে ফুসফুসের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। আর এটার ফলাফল হবে খুব খারাপ। কারখানার ধোঁয়ায় একটা গ্যাস থাকে, সে গ্যাস শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসনালীর কোষগুলো থেকে আঠালো কিছু বের হতে থাকে। এমন প্রতিক্রিয়া সাথে সাথেও হতে পারে। কাজেই কারখানার শ্রমিক, স্থানীয় জনগণকে বাঁচার জন্য সচেতন হতে হবে। নিয়মিত মাস্ক পরা, শাক-সবজি ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া, বছরে অন্তত একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া। এ বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।

পরিবেশ দূষণের বিষয়ে সালেহ স্টিল ও বায়েজিদ স্টিলের বক্তব্য

পরিবেশ দূষণের বিষয়ে জানতে সালেহ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মোহাম্মদ জাভেদ অপগেনহাফেন কল দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালে তিনি শহরে নেই বলে জানান।

পরে কারখানার কালো ধোঁয়া সড়কে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ অ্যাসিসট্যান্ট  শহীদ হোসাইন তানজিলকে ফোন দিলে তিনি মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে সিভয়েসকে বলেন, ‘আপনি কারখানার ধোঁয়ার যে বিষয়টি বললেন সে বিষয়ে আমরাও অবগত আছি। ধোঁয়ার যে সমস্যাটা হচ্ছে এটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ধোঁয়ার সমস্যাটার কারণে যারা ‘টুকটাক ভোগান্তি’তে পড়ছে এটা যাতে আর না হয় তা নিয়ে কাজ করছি। এ ব্যাপারে আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।’ 

সালেহ স্টিলের কারখানা থেকে ছাড়া হচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী।

তবে কুণ্ডলী কুণ্ডলী ধোঁয়া পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ব্যাপক আকারে ধোঁয়া রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে বিষয়টা কিন্তু সত্য নয়। মাঝেমাঝে হয়তো এমনটা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি দ্রুত সময়র মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।’ 

খুব দ্রুত সময় বলতে কতদিন লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনাকে আগেই বলেছি আমরা সমস্যাটি সমাধানে পরিবেশ অধিপ্তরের সাথে কাজ করছি। যে ধোঁয়াটা বের হচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আমি আপনাকে এক বা দু সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করে ফেলব এমন আশ্বাস দেওয়া ঠিক হবে না।’

এদিকে বায়েজিদ স্টিলের কাছে পরিবেশ দূষণের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব অপারেসন্স জাহাঙ্গীর আলম সিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের এয়ার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এটিপি) আছে। এটিপির বাইরে ধোঁয়া বের হবার সুযোগ নাই। পরিবেশ অধিপ্তরের দেওয়া সনদও আছে। তারা প্রতি ৩ মাসে একবার আমাদের কারখানায় এসে পরীক্ষা করে যায়। তবে অনেক সময় স্ক্র্যাবের ভিন্নতা থাকলে  অথবা যন্ত্রাংশের ত্রুটির কারণে বেশি আকারে ধোঁয়া বের হয়। সেটা হয়তো দুর্ঘটনাবশত হতে পারে। বাদবাকি আমাদের সবকিছুই ঠিক আছে।’ 

পরিবেশ অধিদপ্তরের বক্তব্য

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে কথা হয় উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হকের সঙ্গে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমরা কোন কারখানায় ত্রুটি দেখলে জরিমানা করতে পারি। আমাদের পরিচালক স্যার মামলাও করতে পারেন। এ ক্ষমতা উনার আছে। কিন্তু কোন কারখানা বারবার অন্যায় করার পর তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গেলে আমাদের মহাপরিচালক (ডিজি) স্যারের অনুমতি লাগবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ সিভয়েসকে বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। আপনার কিছু জানার থাকলে মেসেজ পাঠান। পরে তাঁর মুঠোফোন ও হোয়াটসএ্যাপে মেসেজ পাঠালে তিনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন উত্তর দেননি।

-সিভয়েস/এসএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়