Cvoice24.com

গ্যাস সংকট সহসা কাটছে না, জানুয়ারিতেও ভোগাবে

দেবাশীষ চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
গ্যাস সংকট সহসা কাটছে না, জানুয়ারিতেও ভোগাবে

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দারা গ্যাস সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। নগরবাসীর অভিযোগ— প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত অবধি চুলায় গ্যাস সরবরাহ থাকছে না। এতে রান্নার কাজে সমস্যা হচ্ছে। ‘সংকট’ শুধু রান্না ঘরেই নয়; গত তিন ধরে চাহিদা অনুসারে গ্যাসের সরবরাহ কম সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও। এমন সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছে খোদ কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে— ‘শুধু এ মাস নয়; এমন সংকট থাকবে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত।’

কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, দৈনিক ৩১২ মিলিয়ন থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চাহিদা থাকলেও সরবরাহ ২৭০ থেকে ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের দু’টি সার কারখানায় দেওয়া হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বাকি গ্যাস দেওয়া হচ্ছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাসায় গ্যাস নেই বলে জানিয়েছেন নগরের ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার বাসিন্দা জাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গ্যাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। আবার কিছুক্ষণের জন্য এসে চলে যায়। পরে একেবারে রাত ৯টার দিকে দিলেও তাতে বেশিক্ষণ ব্যবহার করা যায় না। গতকাল রাত ৯টার দিকে ৩০ মিনিট মতো চুলায় রান্না করার পর পুনরায় গ্যাস চলে যায়।’

এদিকে, আরাকান রোড এলাকার সাউদার্ন গ্যাস ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ কম বলে জানিয়ছেন সাউদার্ন গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার খল্লিলুর রহমান। তিনি সিভয়েকে বলেন, ‘চাহিদা মোতাবেক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাতে ৯টার পর থেকে প্রায় সময় বন্ধ থাকে গ্যাস বিক্রি।’

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, ‘মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সংকট আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারে।’

মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালে কর্তব্যরত পেট্রোবাংলার এক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভয়েসকে বলেন, ‘এলএনজি টার্মিনাল থেকে বর্তমানে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলাতেও গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। এছাড়া আমাদের একটি ফ্লটিং ষ্টেশন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে সিঙ্গাপুর গেছে। দেশে ফিরলে গ্যাস সরবরাহ আশা করি স্বাভাবিক হবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়