করোনা চিকিৎসায় বন্দর হাসপাতালে বসছে আইসিইউ শয্যা

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ২ জুন ২০২০
করোনা চিকিৎসায় বন্দর হাসপাতালে বসছে আইসিইউ শয্যা

সামাজিক সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। কেননা বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন এ ভয়ানক করোনা (সার্স কোভ-২) ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে। ফলে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত করেছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্ট সহ ৫০ শয্যার আইসোলেশন। পাশাপাশি আরো বড় ঝুঁকির কথা ভেবে প্রস্তুত করছে আইসিইউ শয্যা।

এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম সিভয়েসকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকে বন্দর হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্ট সহ ৫০ বেডের আইসোলেশন প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। এখন আইসিইউ প্রস্তুত করার কথা পরিকল্পনা করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের ইঞ্জিনিয়ার হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে ৫ থেকে ৮ শয্যার আইসিইউ প্রস্তুত করব।’

মঙ্গলবার (২ জুন) হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় হাসপাতালটি সম্পর্কে। 

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করবেন। আমি সেখানেও কাজ করতে পারি। তারা আমাকে আমার টিমসহ কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সবকিছু যদি ঠিকঠাক হয়, তাহলে বন্দর হাসপাতাল ফিল্ড হাসপাতালের মত করে প্রস্তুত করব। এ নিয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আবার কথা হবে। তারপর আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।’

এ বিষয়ে কথা বলেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত হাসপাতালে বন্দরের কর্মচারীদের জন্য কিছু সংখ্যক সিট সংরক্ষিত রেখে বাকি সিটগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত মা ও শিশু হাসপাতালের বিশাল ভবন ৫০০ রোগী ধারনের ক্ষমতা রাখে, কিন্তু উপযুক্ত সহযোগিতার অভাবে খালি পড়ে রয়েছে।’

হাসপাতালে করোনা সংকটকালীন যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ে বন্দরের তহবিল হতে ব্যয়ভারও গ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া বন্দর সংশ্লিষ্ট ও বন্দরে চাকুরিরত প্রত্যেক শ্রমিকের পৃথক নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের তথ্যমতে জানা যায়, গতকালের (সোমবার) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুই সংস্থায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। পৃথক তথ্য অনুযায়ী, বন্দরের ৩৯ জন ও কাস্টমসের ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে বন্দরের চারজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সিভয়েস/এসজেবি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়