হালদায় কমেছে লবণাক্ততা, দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

সিভয়েস প্রতিবেদক ও রাউজান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ২ জুন ২০২১
হালদায় কমেছে লবণাক্ততা, দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

দেশের একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে পূর্ণ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকে ডিম ছাড়া শুরু হয়। মাছের আকার অনুযায়ী হালদা পাড়ে ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত নমুনা ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, হালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী অংশের আজিমের ঘাট, অংকুরি ঘোনা, কাগতিয়ার মুখ, গড়দুয়ারা নয়াহাট, রাম দাশ মুন্সির ঘাট, মাছুয়া ঘোনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে  শত শত নৌকা নিয়ে কার্প জাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহ করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। 

হালদা নদীর ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, বুধবার বিকেল থেকে ডিম ছাড়া শুরু হয়েছে। এবারে পূর্ণাঙ্গ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। 

এর আগে গত ২৫ মে রাত ১২টার পর, পরদিন দুপুর ১২টার পর ও রাত ১০টার পর তিন দফায় নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াছ ও পূর্নিমার প্রভাবে হালদায় লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় বেশিরভাগ ডিম নষ্ট হয়ে যায়। 

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া সিভয়েসকে বলেন, নদীর পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রথম ধাপে মা মাছ আশানুরূপ ডিম ছাড়েনি। স্বাভাবিকের চেয়ে ৭২ শতাংশ লবণাক্ত পানি থাকায় ডিম সংগ্রহ কম হয়েছে। গত সপ্তাহে নমুনা ডিম ছেড়ে পূণার্ঙ্গ ডিম ছাড়ে নি মা মাছ। এক সপ্তাহ পর ঝুম বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে মা মাছ পূর্ণ ডিম ছেড়েছে। 

লবণাক্ততা কমেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হালদায় লবণাক্ততা কমে স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে লবণাক্ততার পরিমাণ ০.০৬ পিপিটি। যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ 

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। তখন ৩৪৩টি নৌকায় ৬শতাধিক ডিম সংগ্রহকারীর মধ্যে প্রত্যেক নৌকা গড়ে ২ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছিল। আজ বিকেল থেকে যারা ডিম পেয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ একশ গ্রাম, আবার কেউ দেড়শ থেকে আড়াইশ গ্রামও পেয়েছেন। তবে বর্তমানে ডিমের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়