২০২৪ সালে বে-টার্মিনাল চালু করতে চায় সরকার: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১৯ আগস্ট ২০২১
২০২৪ সালে বে-টার্মিনাল চালু করতে চায় সরকার: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বে-টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বন্দর আর্থিক সংকটে পড়লে সরকার সহযোগিতা করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বে টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করতে চায় সরকার। সে লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় নগরের হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় সাগরতীরে বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মতো বে-টার্মিনালও বাংলাদেশের গর্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বে-টার্মিনাল হবে। ২০২৪ সালে বে-টার্মিনালের অপারেশন শুরু করতে চাই। এখানে তিনটি টার্মিনাল থাকবে। এর একটি চট্টগ্রাম বন্দরে হবে। জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজ হয়তো স্লো হচ্ছে। বাকি দুটি টার্মিনাল বৈদেশিক বিনিয়োগে হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়, তাদেরকে বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বে টার্মিনাল নির্মাণে উচ্ছ্বসিত ছিল। কোভিডের কারণে কিছুটা সময় লাগছে। বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আর্থিক কোনো জটিলতা নেই। প্রধানমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ টাকা দিচ্ছেন। আগে জমি অধিগ্রহণের কথা শুনলে মানুষ যেত।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ  বলেন, বে টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহী যেসব বিদেশিরা আসছেন, তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর, চায়না, ডেনমার্কসহ অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান আসছে। জুম মিটিং হচ্ছে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ দেওয়া হবে। 

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ প্রকল্প নিয়ে আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। স্টাডি আপডেট করার জন্য নতুন কনসালটেন্ট নিয়োগ করছি। এরপর ই-টেন্ডার হবে। ২০২৪ সালের আগেই দু-একটা টার্মিনাল চালু করতে চাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও সুলতানা আফরোজ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নগরের হালিশহরের আনন্দবাজার সাগর উপকুলে আড়াই হাজার একর ভূমিতে বে টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে ৮৭০ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৬ একর জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি খাস জমি ৮০৩ একর অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। বাকি ১৬২৯ একর জমি বে-এরিয়া হতে রিক্লেইম করা হবে।  এতে মোট তিনটি টার্মিনাল থাকবে। প্রতিটি টার্মিনালে ৩০০ মিটার লম্বা ছয়টি জেটি থাকবে। প্রতিটি টার্মিনালে একইসাথে ছয়টি জাহাজ বার্থিং দেয়া যাবে। এছাড়াও বে-টার্মিনালে একইসঙ্গে ভিড়তে পারবে ৩৫ থেকে ৫০টি জাহাজ। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা করতে হলেও বে-টার্মিনালে এ জটিলতা থাকবে না। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের জট অনেকাংশে কমে যাবে। খরচ কমে গতি আসবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। বে-টার্মিনাল চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বহুগুণ বাড়বে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়