বৈশাখের আঁচ নেই চেরাগীর ফুলবাজারে

দেবাশীষ চক্রবর্তী, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
বৈশাখের আঁচ নেই চেরাগীর ফুলবাজারে

পহেলা বৈশাখ ঘিরে এবারও জমে উঠেনি নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ের ফুলের বাজার। ক্রেতা নেই, ফুলেরও দাম নেই। একদিকে গরমে ফুল পচে ব্যবসায় ধস নামার শঙ্কা, অন্যদিকে ঈদের লম্বা ছুটির কারণে ক্রেতা সংকট। ফলে গেল সপ্তাহের তুলনায় ফুলের বাজার কমতির দিকে। গত চার বছরও রোজা-করোনার কারণে ফিকে গেছে ফুল ব্যবসায়ীদের। এখন পর্যন্ত বেচাকেনা তেমন একটা নেই, তবে রোববার বছরের প্রথম দিন মন্দের ভালো হবে আশা তাদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারি পর থেকে বৈশাখের সময় ফুল ব্যবসায় ধস নেমেছে। করোনাকালে ফুল ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। অথচ এক সময়ে বাংলাদেশে যেসব উৎসব ও দিবসকে ঘিরে ফুলের ব্যবসা জমজমাট থাকতো এর মধ্যে পহেলা বৈশাখ অন্যতম।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য চার বছর ধরে বৈশাখকে কেন্দ্র করে ভালো যায়নি ফুলের বাজার। করোনা এবং রমজানের মধ্যে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ফুলের বিক্রি নেমেছে অর্ধেকেরও নিচে। এছাড়া এ বছর টানা ঈদের বন্ধের কারণে প্রভাব পড়েছে ফুলের বাজারে। এখন পর্যন্ত বেচাকেনা জমেনি, রোববার নাগাদ তারা কিছুটা বেচাবিক্রি করবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের পাইকারি ফুলের বাজার খ্যাত চেরাগী পাহাড় এলাকার ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। গত একদিনের ব্যবধানে কমে গেছে ফুলের দাম। লহর প্রতি গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। যেখানে দুই দিন আগেও ৬০ টাকা কমে লহর বিক্রি করতে নারাজ ছিলেন বিক্রেতারা। 

চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফুলের বাজার চেরাগী পাহাড় এলাকায় লিলিফুলের স্বত্তাধিকারী সাব্বির রহমান বলেন, ‘ফুলের বাজার আর আগের মতো নেই। আগে সকালবেলা দোকান খুললেই ৪ হাজার টাকা বিক্রি হতো। আর এখন সকালে দোকান খুলে বিকাল পর্যন্ত বিক্রি করেছি মাত্র ৫০০ টাকা। আগে পহেলা বৈশাখের এক সপ্তাহ আগে থেকেই ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার আসতো। কিন্তু চার বছরে যাবত অগ্রিম অর্ডার পাইনি। অথচ বৈশাখ ঘরের দুয়ারে। আগে বৈশাখে দৈনিক ১৫ হাজার টাকা পর্যন্তও বিক্রি করেছি। এবার কিছু নাই।’

চেরাগীর আরেক ফুল ব্যবসায়ী উজ্জল্ব দাশ বলেন, 'পহেলা বৈশাখের সময় গাঁদা ফুল ও গাজরার চাহিদা থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই মৌসুমেও ফুল ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখছেন না। ঈদের ছুটির কারণে বিয়ে, অনুষ্ঠানেরও কাজ নেই।'

চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সিভয়েস২৪-কে বলেন, 'ঈদের বন্ধে বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই সাজানোর কাজ এই  বছরও কম। তবে ঈদের ছুটিতে যেহেতু মানুষ বাইরে বের হবে; এবার গত চার বছরের তুলনায় হয়তো ১৫ শতাংশ বেশি ফুল বিক্রি হতে পারে।'

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়