শর্ত দিয়ে মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২১ এপ্রিল ২০২০
শর্ত দিয়ে মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান

পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে শর্ত দিয়ে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা আহমদ শফিসহ সমাজের শীর্ষ আলেম সমাজ।  একই সাথে সুস্থ ব্যক্তিদের পবিত্র জুমা, পাঁচ ওয়াক্তের জামাত ও তারাবিহ আদায়ের জন্য নামাজের সময় সকল মসজিদ খোলা রাখারও অনুরোধ করা হয়। 

মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, পবিত্র রমজানুল মুবারক অত্যাসন্ন। এ মাস রহমত ও নাজাতের মাস। করোনাসহ সমস্ত বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য এ মাসের সদ্ব্যবহার একান্ত জরুরি।  

আল্লামা শাহ আহমদ শফি, চেয়ারম্যান, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, কো-চেয়ারম্যান, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি মো: ওয়াক্কাস, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপর), মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী প্রমুখ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অনেকগুলো শর্তও জুড়ে দেয়া হয়।     

বিবৃতিতে যে সকল শর্ত তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো-

১. মসজিদে কার্পেট, জায়-নামাজ বা গালিচা না বিছানো। 

২. জুমার বয়ান, খুতবা, জামাত ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং নামাযের আগে বা পরে মসজিদের ভেতরে বা সামনে জড়ো হওয়া যাবে না। 

৩. যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে, যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন কিংবা যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন তাদের মসজিদে আসা যাবে না। 

৪. পঞ্চাশোর্ধ বয়সের মুসল্লি এবং ১২/১৩ বছর পর্যন্ত বয়সের বালক মসজিদে আসতে পারবে না।

৫. যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত তারা মসজিদে আসতে পারবে না। এবং যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তারাও আসবেন না। 

৬. মুসল্লিদের দু‘জনের মাঝে অন্তত দুই ফুট পরিমাণ জায়গা ফাঁক রেখে দাঁড়াতে হবে। 

৭. বাসা থেকে অজু করে যেতে হবে এবং হাত ও পা ভালোভাবে ধুয়ে মুছে যেতে হবে।

৮. পরস্পর হাত মিলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত  থাকতে হবে। 

৯. বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এবং মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

১০. ওযুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখবে।

১১. বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য প্রতি মসজিদে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করতে হবে।

১২. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক, স্যানেটাইজ ইত্যাদি দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

১৩. সম্মিলিত ইফতারের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখিত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কিংবা কোনো এলাকায় আক্রান্ত সংখ্যা অস্বাভাবিক হলে প্রশাসন সিদ্ধান্ত পুর্ণবিবেচনা করতে পারবেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

-সিভয়েস/এসসি/এমএম 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়