সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ /
বিএম ডিপোতে কোনও বিস্ফোরক ছিল না— নৌ-প্রতিমন্ত্রী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ৭ জুন ২০২২
বিএম ডিপোতে কোনও বিস্ফোরক ছিল না— নৌ-প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নাশকতার সন্দেহ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে কোনও বিস্ফোরক ছিল না, তবে ডিপোতে লাগা আগুন নাশকতা কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সীতাকুণ্ড ঘুরে এসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। 
 
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনও বিস্ফোরক ছিল না। যেহেতু বিস্ফোরক না, এ কারণে সে ঘোষণা তারা দেয়নি। এটা দীর্ঘদিন ধরেই রপ্তানি হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। বিক্রিয়া হয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে। এ কারণে প্রথমে যারা নেভাতে গিয়েছিল তারা আক্রান্ত হয়েছে। যাওয়ার আগে যেটা চিন্তা করে গিয়েছিলাম গিয়ে অন্য চিত্র দেখলাম।

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রপ্তানি পণ্য হিসেবেই মজুদ ছিল। সব কোড মেনেই এখানে ডিপো করা হয়েছে। যতটুকু দেখলাম, কিছু কন্টেইনারে আগুন, মাঝে আবার কিছু হয়নি। আবার পরে হয়েছে। এটা সন্দেহজনক, অস্বাভাবিক আগুন।

খালিদ মাহমুদ বলেন, কোনও বিস্ফোরক ছিল না। যেহেতু বিস্ফোরক না এ কারণে সে ঘোষণা তারা দেয়নি। এটা দীর্ঘদিন ধরেই রপ্তানি হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে।

যে ১৮-১৯ টি ডিপো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থাপনা বিএমের ছিল বলেও জানান তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হতে পারে বলেও সন্দেহের কথা জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।

এরআগে গতকাল সোমবার সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী বলেছিলেন, এ ঘটনার কারণে বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লেগেছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সেনাবাহিনী জানায় বিএম ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেই সঙ্গে এলাকাটিকেও ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়ি-ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে।

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জন হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৮ জনের পরিচয় এখনো মেলেনি। তাদের শনাক্তে ৩৭ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫ জনকে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়