গ্যাস-বিদ্যুতে কেন ভর্তুকি দেব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্যাস-বিদ্যুতে কেন ভর্তুকি দেব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ ক্রয়মূল্যে নিতে রাজি হলে সবাইকে সাপ্লাই দেওয়া যাবে। তিনি বলেছেন, আমরা যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করি তা উৎপাদন করতে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ১২ টাকা। বিপরীতে আমরা নিচ্ছি ৬ টাকা। তাতেই অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের দাম ১৫০ শতাংশ বেড়েছে, এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস, বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি খরচ যা হয় সেটা সবাই দেয়। কত ভর্তুকি দেওয়া যায়? আর এই ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেব? ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে ১৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২তলা বিশিষ্ট বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নিজস্ব প্রধান কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। আগারগাঁওয়ে এ ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নবনির্মিত 'বিনিয়োগ ভবন' উদ্বোধন শেষে মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অতিথিরা। আগারগাঁওয়ে স্থাপিত বিডার প্রধান কার্যালয় হিসেবে নবনির্মিত ভবনটি সরকার নামকরণ করেছে '‘বিনিয়োগ ভবন’৷

ভবনটিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনএসডিএ প্রধান কার্যালয়ও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী৷

বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। ইংল্যান্ড দেড়শ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে ক্রয়মূল্যে।

এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয় জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, সেখানে আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। তাতেই আমরা অনেক চিৎকার শুনি।

তিনি বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যই ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার। আমরা পৌঁছে দিয়েছি। জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেই ট্যাক্স আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিল্প-কলকারখানায় যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।

পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সে কথা তুলেও ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কারও সহযোগিতা বা সমর্থন পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু সমর্থন আমার জনগণ দিয়েছে। ফলে আমরা সফলতার সঙ্গে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করেছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়াও বক্তব্য দেন। 
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়