সিফাতের জামিন, র‌্যাবের কাছে তদন্তভার হস্তান্তরের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১০ আগস্ট ২০২০
সিফাতের জামিন, র‌্যাবের কাছে তদন্তভার হস্তান্তরের নির্দেশ

টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের ফিল্মটিমের সদস্য সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (টেকনাফ) বিচারক তামান্না ফারাহ সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি মামলার (মাদক ও হত্যা) তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সিফাতের আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (৯ আগস্ট) জামিনে কারামুক্ত হন অপর শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ। ওই সময় সিফাতের জামিনের শুনানি শেষে আদেশের দিন সোমবার ধার্য করা হয়।

সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা রানী দেবনাথ ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী।

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আইনজীবি এড. মো. মোস্তফা জানান, মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা ও মাদকের মামলায় তিনি কারান্তরীণ ছিলেন। আগেই তার জামিন আবেদন করে রাখা হয়েছিলো। রোববার তার জামিন আবেদনের শুনানী হয়। 

শুনানী শেষে আজ সোমবার জামিন আদেশের দিন ধার্য্য করছিলো। তার অংশ হিসেবে পুন: জামিন শুনানী হলে আদালত সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সাথে তদন্ত কর্মকর্তা বদলীর আবেদন করা হলে তাও মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। বুধবার (০৫ আগস্ট) নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ আসামি আত্মসমর্পণ করেন। পরে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৪ আসামিকে ২ দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

তবে জেলা পুলিশের দাবি, মামলায় পলাতক থাকা এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামে কোনো পুলিশ সদস্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র এবং টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিল না।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়