চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নৌকা পেলেন ফটিকছড়ির পেয়ারুল ইসলাম
সিভয়েস প্রতিবেদক
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম
বর্তমান প্রশাসক এম এ সালামসহ চট্টগ্রামের ১৬ নেতাকে পেছনে ফেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি ফটিকছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বাকি ৬০ জেলা পরিষদের প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হয়।
১৯৭৩ সালে মাইজভাণ্ডার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-সংসদের নির্বাচিত জি.এস হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পণ হয় এটিএম পেয়ারুল ইসলামের। ১৯৭৯ সালে নাজিরহাট কলেজের ছাত্র-সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। একই বছরে (১৯৭৯-৮০) ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। পরের বছরে (১৯৮১-৮২) উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ পান। ১৯৮৭-৯০ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাচিত গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক। ১৯৮৯ -৯০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ১৯৯০ সালে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৩-৯৪ সালে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন পেয়ারুল ইসলাম। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফটিকছড়ি থেকে নৌকার হয়ে নির্বাচনে লড়ে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কাছে হেরে যান ৷
এবার পেয়ারুর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি লায়ন শামসুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস, রূপালী ব্যাংকের পরিচালক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব আবুল হাশেম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. ওসমান গণি চৌধুরী।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদের নির্বাচনের আগে তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এবারও তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।