কালুরঘাট সেতুকে ঝুঁকিতে ফেলে লাইনচ্যুতির পরও ২৩৪০ ফুট চললো তেলবাহী ট্রেন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
কালুরঘাট সেতুকে ঝুঁকিতে ফেলে লাইনচ্যুতির পরও ২৩৪০ ফুট চললো তেলবাহী ট্রেন

ছবি: সিভয়েস

দোহাজারী থেকে ফার্নেস তেলবাহী ট্রেনের পেছনের দুটি বগির ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয় কালুরঘাট সেতুর পূর্বপ্রান্তে বোয়ালখালী অংশে। এরপরও সেই লাইনচ্যুত বগি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই ট্রেন পার করেন চালক। এতে চাকা থেকে আগুনের ফুলকি বের হলে পথচারীর শোর চিৎকারে কালুরঘাট ব্রিজ পার হয়ে পশ্চিম পাড়ে এসেই থামান ট্রেনটি। চালকের অদক্ষতায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি আরো ঝুঁকিতে পড়ার পাশাপাশি আধাঘণ্টার মত বন্ধ ছিল সেতু দিয়ে যান চলাচলও। 

বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে কালুরঘাট ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

সিভয়েসের প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান— লাইনচ্যুত বগি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই ওয়াগনটি পার করেন চালক। এতে চাকা থেকে আগুনের ফুলকি বের হলে পথচারীর শোর চিৎকারে কালুরঘাট ব্রিজ পার হয়ে পশ্চিম পাড়ে এসেই থামানো হয়। এই ওয়াগনটি ফার্নেস অয়েল দিয়ে দোহাজারী থেকে নগরে ফিরছিল। পথিমধ্যে কালুরঘাট ব্রিজে উঠার আগেই লাইনচ্যুত হয়। 

এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে উদ্ধারকারী ট্রেনের পাশাপাশি রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। তারা চালককে জেরা করে জানতে চান, ২০৯৫ ফুট দীর্ঘ এই কালুরঘাট সেতু দিয়ে কেন এবং কীভাবে ঝুঁকি নিয়ে লাইনচ্যুত ওয়াগন পার করানো হলো? এছাড়া লাইনচ্যুতির পরও সেতুসহ মোট ২৩৪০ ফুট চলানো হলো এই তেলবাহী ওয়াগনটি। এতে করে ব্রিজের ক্ষতির পাশাপাশি ওয়াগনেরও ক্ষতি হয়। যদিও জিজ্ঞাসাবাদকারী ওই কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি সিভয়েস প্রতিবেদকের কাছে।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা (সিওপিএস) এএএম সালাহউদ্দিন বলেছেন, খালি দুটি বগি লাইনচ্যুত হলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

এদিকে  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশিস দাশ গুপ্তকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও ডিটিও স্নেহাশীষ দাশগুপ্তকে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়