Cvoice24.com

চট্টগ্রামে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করছে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ২২ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রামে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করছে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ 

ফাইল ছবি।

আসন্ন রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে বলে আশা করছে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, রোজার মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি হলে, ভোগান্তি দেখা দিতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এর মধ্যে পুরো রমজান মাসজুড়ে নগরবাসীদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।

আর একদিন পরই শুরু হচ্ছে মাহে রমজান। দিনভর রোজা রাখতে সেহেরি, দিনশেষে ইফতার ও তারাবি'র নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটু স্বস্তি পেতে নগরবাসীদের প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। গত কয়েক বছরের মতো এবারো মধ্য গ্রীষ্মে রমজান পালন করতে হবে মুসলমানদের। আবার এই গ্রীষ্মেই প্রচণ্ড দাবদাহে চাহিদা বাড়ে বিদ্যুতের। যার প্রভাবে গত বছর লোডশেডিং-এ ভুগেই ইবাদত করেছেন চট্টগ্রামের মানুষরা। তবে এবছর নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ বেশকিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে বিতরণ সংস্থাগুলো।

জানা যায়, চলতি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপকেন্দ্রে রক্ষণাবেক্ষণ শেষ করেছে এই সেবা সংস্থা। গঠন করা হয়েছে মনিটরিং কমিটি। প্রতিটি সাব স্টেশনে জরুরী সেবা দিতে থাকবে ৬ জনের মোবাইল টিম।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিম সিভয়েসকে বলেন, ‘রমজানে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ধরে রাখাটায় আমাদের মোক্ষম চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে ঢাকায় সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে দফার দফায় বৈঠক হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হলে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহে একটু বেগ পেতে পারে। 

এদিকে, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় চট্টগ্রাম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র একটা ইউনিট চালু রাখা যাচ্ছে। অন্যদিকে কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ কম থাকায় সবসময় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকলে রাতে হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট রাতে চালু রাখা হচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির টানাপোড়নে প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন ধরে রাখা আমাদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়