ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় ক্যারিবীয়দের কাছে ৩৫ রানে হার

ডমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। উইন্ডসর পার্কে রোববার (৩ জুলাই) ক্যারিবীয়দের ১৯৪ রানের জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে টাইগারদের ইনিংস থামে ১৫৮ রানে। এ পরাজয়ে আরও একবার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দায় চোকাতে হলো বাংলাদেশ দলকে। যদিও এদিন ‘খারাপ’ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন বোলাররাও। ফলাফল তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে গেল রিয়াদবাহিনী। 

ক্যারিবীয়দের দেয়া ১৯৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় হোঁচট খায় বাংলাদেশ। শুরুর তিন ওভারে প্যাভিলনের পথ ধরেন টাইগারদের তিন ব্যাটার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসা ওবেদ ম্যাককয়ের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। পরের বলেই সরাসরি বোল্ড আউট হন সাত বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। ৪ বল মোকাবিলায় লিটন করেন ৫ রান আর বিজয় ফেরেন ৪ বলে ৩ রান করে। 

এরপর ক্রিজে নেমে ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ওডিন স্মিথের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে  মিড অফে ম্যাককয়ের তালুবন্দি হয়ে ফিরে আসেন তিনিও। ৭ বল মোকাবিলায় এক চার এক ছক্কায় ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে যাওয়ার পর সাকিবের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দিচ্ছিলেন আফিফ হোসেন দ্রুব। কিন্তু ক্যারিবীয় বোলার শেফার্ড তোপে তিনিও স্থায়ী হতে পারেননি। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেছনে স্কুপ করতে গিয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়ে তার ২৭ বলের ইনিংসটি থেমে যায় ৩৪ রানে। 

এরপর নুরুল হাসান সোহান থিতু হতে গিয়ে কিছুক্ষণ টেস্ট খেলে ফিরে আসলেন। যে মুহূর্তে দরকার ছিল ঝড়ের গতিতে রান সে সময় তার ১৩ বল মোকাবিলায় ৭ রান বড়ই বেমানান।

তবে এক প্রান্তে টাইগারদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখা গেলেও অপরপ্রান্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব। তবে নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠা হয়নি তার সঠিকভাবে। শেষদিকে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন বটে। কিন্তু ততক্ষণে হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

স্বস্তি তখন শুধু সাকিবের ফিফটি। টাইগার অলরাউন্ডার ৪৫ বল মোকাবিলায় নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দশম ফিফটি হাঁকিয়ে নেন। এরপর ম্যাককয়কে একই ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার হাঁকিয়ে স্বল্প সংস্করণের ক্রিকেটে স্পর্শ করেন দুই হাজার রানের মাইলফলক। মোসাদ্দেক ১০ বলে ১৫ রান করে কট বিহাইন্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৯৩ রানের বড়  দাড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রভম্যান পাওয়েল ২৮ বলে ৬ ছক্কা ও এক চারে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ওপেনার ব্রানডন কিং। এছাড়া অধিনায়ক পুরানের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। 

টাইগার বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ২টি এবং মেহেদী হাসান, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন ১টি করে উইকেট নেন। এদিন ৩ ওভারে ৪৬ রান দিয়েও কোন উইকেটের দেখা পাননি তাসকিন। একই অবস্থা কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানেরও। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়েছেন তিনি।