Cvoice24.com

লোহাগাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর লাশ, স্বামী আটক

লোহাগাড়া প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ২১ আগস্ট ২০২১
লোহাগাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর লাশ, স্বামী আটক

লোহাগাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফাতেমা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে ১০টায় সদর ইউনিয়নের সুখছড়িকুল এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরিবারের দাবি ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী ওমান প্রবাসী মো. শরীফকে (৩০) আটক করেছে। শরীফ ওই এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে।

স্থানীয়রা বলছেন, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। ঘটনারদিন শরীফ বাড়িতেই ছিল। তবে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল স্বামীর পরিবার। 

জানা গেছে, ৩ বছর আগে চুনতি সাতগর এলাকার মো. ইসমাঈলের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে ওমান প্রবাসী মো. শরীফের সঙ্গে বিয়ে হয়। লকডাউনে দেশে এসে আটকে যায় শরীফ। 

নিহত গৃহবধূর চাচা ছিদ্দিকের দাবি, পরকীয়ার কারণে তার ভাতিজিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ৩/৪ মাস আগে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি ছিলনা। গ্রাম্য বিচারের মধ্যমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্বশুরবাড়িতে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। বাড়িতে তার ননদ রয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক বাবুল বলেন, সকালে জানতে পারি ওমান প্রবাসী শরীফের স্ত্রী মারা গেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। হত্যা নাকি আত্মহত্যা আমি জানি না। তবে শরীফ ভাল ছেলে।

নিহত গৃহবধু ফাতেমার বয়োবৃদ্ধ বাবা মো. ইসমাঈল বলেন,  আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদেরকে মারা গেছে বলে খবর দেয় সকালে। কিন্তু মেয়ের লাশের পাশে গিয়ে দেখতে পাই গলায় আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ আলামত উদ্ধার করেছে। মেয়ের মৃত্যু রহস্যময়। তবে পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করেছে। সুরতহালে লাশের গলায় চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূর স্বামীর স্বীকারোক্তিমতে একটি ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাবে না।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়