Cvoice24.com

রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৬ মার্চ ২০২২
রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্ধারিত সময়ের পর হলেও চট্টগ্রাম নগরের বর্তমানে ওয়াসার দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা মেটাতে ১৪ দশমিক ৩ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।  

বুধবার (১৬ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে অবস্থিত চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হলে থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকোশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।

এরআগে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ফলে নগরবাসীর দৈনিক চাহিদার ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা বেড়েছে।  

২০২০ সালের জুনে এটি চালু হওয়ার প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হলেও করোনার কারণে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। পরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজের যোগ দিলে কাজে গতি আসে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এ প্রকল্পের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। 

এরআগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। 

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ায় ওয়াসার পানি সরবরাহ ক্ষমতা বাড়বে দৈনিক আরও ১৪ দশমিক ৩ কোটি লিটার। বর্তমানে দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এ প্রকল্প চালুর ফলে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান, এ প্রকল্প চালুর ফলে নগের আর পানির সংকট থাকবে না। অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নগরে পানির জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। পানি সরবরাহের দিক থেকে বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর মতো সেবা মিলবে। এরপর সমস্ত গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেয়া হবে। এতে আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল বাড়বে। ফলে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে। 

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্পের পরিচালক ও ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া সরফভাটা থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করা হবে। তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকল্পের ট্রায়াল রান চালানো হয়েছে। এর প্রধান কারণ ছিল উৎপাদিত পানির গুণগত মান নিশ্চিত করা। প্রতিটি প্যারামিটারে শতভাগ লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা পর্যন্ত কোনোভাবে সাধারণের ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ করা যায় না। আমরা এ লক্ষ্যে চূড়ান্ত পারফেকশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং শতভাগ সফল হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর আগের দিন এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলো। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়