সাত বছর পর ধরা পড়লো রাউজানের যুবলীগ কর্মী শহিদুল হত্যার আসামি
সিভয়েস প্রতিবেদক
রাউজানের যুবলীগ কর্মী শহিদুল আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউসুফ
রাউজানের যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ইউসুফকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সোমবার সকালে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ইউসুফের শ্বশুর বাড়ি। ইউসুফ তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গোপনসূত্রে সেই খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ২০১৫ সালে রাউজানের যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।
গ্রেপ্তার ইউসুফ পশ্চিম রাউজানের মৃত বজল আহমদ সওদাগরের ছেলে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ২০১৫ সালে রাউজান-রাঙামাটি সড়কের চারাবটতল এলাকায় যুবলীগের কর্মী শহিদুল আলম (৩৫) কে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী মুখোশ পরিধান করে অনেকটা সিনেমা স্টাইলে মাইক্রোবাস থেকে নেমে গুলি করে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় ইউসুফও আসামি ছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের পর মামলার ১ নম্বর আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজ উদ্দিনসহ উল্লেখিত হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিরা বিদেশে চলে যায়। কিছুদিন থাকার পর তারা দেশে ফিরে এসে পূর্বের ন্যায় এলাকায় আবার চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে ত্রাস সৃষ্টি করে।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি র্যাব শহীদুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও ‘মাস্টার মাইন্ড’ আজিজ উদ্দিনকে (৪৪) আটক করে। এরপর বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারির প্রেক্ষিতে র্যাব খবর পায় ৭ বছর ধরে পলাতক মো. ইউসুফ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চবি জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
