Cvoice24.com

সাতকানিয়ায় লিচুর ফলন, ৪০ হাজারে লাভ আড়াই লাখ

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৬, ২৫ মে ২০২২
সাতকানিয়ায় লিচুর ফলন, ৪০ হাজারে লাভ আড়াই লাখ

বিগত বছর দু’য়েক করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লিচুর ভরা মৌসুমেও পাইকারদের দেখা না মিললেও চলতি মৌসুমে এসে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সাতকানিয়ায় এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। মৌসুমের অনেক আগে  লিচু বাজারজাত করতে পেরে চাষিরা খুব উৎফুল্ল। একদিকে নেই করোনা ভাইরাসের প্রভাব অন্যদিকে লিচুর ভাল ফলন। সবমিলিয়ে লিচু চাষীদের এখন সোনায় সোহাগা। 

গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর তাপদাহে দেশে রসাল ফলের চাহিদা চিরাচরিত। সেকারণে এ গরমে লিচুর বেচা-বিক্রি ভালই চলছে। আবার অনেক লিচু চাষী অতি লাভের আশায় বাগানের গাছে লিচু রেখে দিয়েছেন।  এবার বেশী ফলনের কারণে ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাগানে লিচু নষ্ট হওয়ার ভয়ও করছেন না চাষীরা।

উপজেলার লিচু চাষি ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে  জানা যায়, চলতি বছর আবহাওয়া ছিল লিচু চাষের অনুকুলে। তাই ফলন ভালো হয়েছে। লিচু চাষে পুঁজি ও শ্রম লাগে কম কিন্তু আয় বেশি হয়। তাই অন্যান্য ফল চাষের চেয়ে লিচু  চাষে চাষীদের আগ্রহ বেশী। সাতকানিয়ার মাদার্শা, এঁওচিয়া, সোনাকানিয়া ও পুরানগড় ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ করা হয়। এসব ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে অন্তত ৪০.২৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয়, বাঁশখালীর কালীপুর জাত ও চায়ন-২, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ হয়। 

তবে স্থানীয় ও কালীপুর জাতের লিচু চাষের পরিমাণ বেশি। এ জাতের লিচু গাছে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই ফুলের দেখা মিলে আর মে মাসের শুরু থেকে গাছে লিচু পাকতে শুরু করে। অন্যদিকে চায়না ও বোম্বাই জাতের লিচু মে মাসের শেষ সময় থেকে পাকা শুরু হয়। সাতকানিয়ায় চায়না থ্রি জাতের লিচু চাষ খুবই কম। চায়না-২, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচু মিষ্টি ও শ্বাঁস দীর্ঘাকার হয়। ইদানিং উপজেলার লিচু চাষিদের স্থানীয় জাতের পাশাপাশি চায়না-২, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচু চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। 

উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাইরতলি এলাকার লিচু বাগানের মালিক মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন, বাড়ির পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় আমার দু’টি লিচু বাগান রয়েছে। এসব বাগানে কালীপুর ও চায়না-২, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের অন্তত দু’শত লিচু গাছ আছে। এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে । যা’ কয়েক বছরের তুলনায় বহুগুন বেশী। আরো এক সপ্তাহ পরে বাগানের লিচু বিক্রি করব। এবছর বাগানে সার, কীটনাশক ও মুজুরিসহ মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। বাগানের সব লিচু ভালোভাবে বিক্রি করতে পারলে আয় হবে আড়াই লাখ টাকা। আর পাইকারদের প্রতি হাজার লিচু বিক্রি করব ১৮ শত থেকে ২  হাজার টাকায়।  
মাদার্শার লিচু বাগানের মালিক আহমদ হোসেন বলেন, স্থানীয় কিছু শ্রমিককে দিয়ে আশপাশের এলাকায় লিচু বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। বেচা-বিক্রি ভালোই বলা চলে। দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর লিচুসহ মৌসুমি অন্যান্য ফলেরও ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো তাই লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। যথাসময়ে বাগানের লিচু বাজারে বিক্রি করতে পারলে চাষীরা প্রচুর লাভবান হবেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়