‘ফেরেশতারা বাঁচিয়েছে আমার ছেলেকে’

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ৫ মার্চ ২০২৩
‘ফেরেশতারা বাঁচিয়েছে আমার ছেলেকে’

প্রতিদিনের মতোই ঘরের সামনের উঠোনে খেলা করছিল ছোট্ট শিশু রাকিব। হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। ঠিক তার ১০ সেকেন্ড পরেই কমপক্ষে ১০০ কেজি ওজনের একটি লোহার বড় টুকরা এসে পড়ল শিশুর সামনে। টুকরাটি যেখানে পড়ে সেখানে বড় আকারের একটা গর্ত তৈরি হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় একজন বৃদ্ধা আহত হন।

শনিবার বিকালে সীতাকুন্ডের সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণস্থলের অন্তত ২ কিলোমিটার দূরে কদম রসুল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ইমাম হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি ঘরের দরজা এবং ঘরের চালের কিছু অংশ ভাঙ্গা। লোহার টুকরাটি উড়ে এসে সেখানে পড়লে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়ির লোকজন জানান, লোহার বড় টুকরাটি যেখানে পড়ে তার পাশেই বসে খেলা করছিল ছোট্ট শিশু রাকিব। তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটির কোন ক্ষতি হয়নি।

শিশুর মা শারমিন সুলতানা বলেন, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ তারপর দেখলাম বিমানের মত কিছু একটা এসে আমাদের ঘরের সামনে পড়ছে যেখানে আমার ছোট্ট শিশু রাকিব খেলা করছিল। ঘরের পিছনের দিক থেকে আমি চিৎকার করছি কিন্তু আমার পা চলছিল না। আমার বারবার মনে হচ্ছিল আমার ছেলে নাই।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আজ হয়তো ফেরেশতারাই আমার ছেলেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ ঠিক যে জায়গায় প্রতিদিন আমার ছেলে বসে খেলা করে লোহার টুকরোটা সেই জায়গায় এসে পড়েছিল। এর ঠিক ৫ মিনিট আগেও আমার ছেলেকে আমি সেখানে বসিয়ে রেখে ঘরের পিছনে পুকুর পাড়ে গিয়েছি। আজ কি কারণে জানিনা আমার ছেলে ওখান থেকে উঠে একটু দূরে গিয়ে বসে।

প্রতিবেশী রোকেয়া বেগম ও রহিমা বলেন, প্রচণ্ড শব্দের সাথে একটু পরেই লোহার টুকরাটি আমাদের বাড়ির উঠোনে এসে পড়ে। এটি যেখানে পড়ে সেখানে অনেক বড় একটা গর্ত হয়ে যায়।

একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, যে ধরনের লোহার টুকরা উড়ে এসে মাথায় পড়ে শামসুল ইসলাম নিহত হন একই ধরনের আরও একটি লোহার টুকরা এসে শিশুটির সামনে পড়ে, তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে যায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়