নিপাহ ভাইরাস
কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ২ জুন ২০১৮
কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

কলকাতায় অধ্যয়নরত এক বাংলাদেশি ছাত্র নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কেরলে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৬। কলকাতাতেও কেরলের এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিন আগে। মনে করা হচ্ছে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা জানিয়েছেন, কোজিকোডে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাসিন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক আইনজীবীর। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে সরকার। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজ। এই রোগের সংক্রমণে ভর্তি বা যাদের মধ্যে এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে, তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নিপাহ ভাইরাস আতঙ্কে এবার নতুন ব্যবস্থা নিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে বন্ধ করা হলো ফল বিক্রি। প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতেও খাবারের সঙ্গে আপাতত ফল দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।

শুধু কেরলেই নয়, নিপাহ ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের বাজারে লিচু, কালোজাম বিক্রি প্রায় বন্ধ। কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বাড়ছে নিপাহ সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা। পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা উত্তম ভৌমিক। বছর ছত্রিশের উত্তম গত মঙ্গলবার কেরল থেকে ফিরেছিলেন। তারপর প্রচণ্ড জ্বর। ঝুঁকি না নিয়ে বুধবারই বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয় উত্তমকে। নিপাহ সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে তাকে।

এদিকে, কলকাতায় কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী বাংলাদেশের ফুয়াদ বিন জাফর। বুধবার সকালে তাকেও বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়েছে। ফুয়াদের শরীরেও নিপাহ সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। জ্বর, গা হাত পা ব্যথা নিয়ে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেনা জওয়ান শিনুপ্রসাদ। বাড়ি কেরলে। ফোর্ট উইলিয়ামে কর্মরত ছিলেন। একমাসের ছুটিতে কেরলে গিয়েছিলেন। ১৩ মে কলকাতায় ফিরে কাজে যোগ দেন শিনুপ্রসাদ। ২০ তারিখ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ মে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর দেহের ফ্লুইড পাঠানো হয়েছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভায়রোলজিতে।

সিভয়েস/আরসি/এমইউ
 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়