Cvoice24.com

ওষুধে কেন মশা মরে না— তা জানাতে দেড় লাখ টাকা চায় চবির গবেষক টিম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০১, ১৬ মে ২০২১
ওষুধে কেন মশা মরে না— তা জানাতে দেড় লাখ টাকা চায় চবির গবেষক টিম

ক’দিন পর পর চট্টগ্রাম নগরের বদ্ধ ড্রেনগুলোতে মশা মারার ওষুধ ঢালছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। কোটি টাকার ওষুধে মশা কমছে না নগরীতে। এমন বাস্তবতায় মশা মারার খুঁটিনাটি জানতে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় গিয়েছিল চসিকের টিম। পরে ‘ঢাকার নিষ্ফল যাত্রা’ শেষে গত মার্চে মশার ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষকদের দ্বারস্থ হয়েছেন মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। চবি শিক্ষকরা জানিয়েছেন গবেষণার জন্য প্রয়োজন প্রায় দেড় লাখ টাকা। তাছাড়া গবেষণার কাজে ওই দলকে যেতে হবে ঢাকায়।

রবিবার (১৬ মে) ঈদের সৌজন্য সাক্ষাতে মেয়রের হাতে একটি বাজেট তুলে দিয়েছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বাজেট ও ওষুধের গবেষণার কর্ম পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে মেয়র রেজাউলকে।

চবি শিক্ষকরা বলছেন, চসিকের পক্ষ থেকে সাত প্রকার মশার ওষুধের নমুনা পাঠানো হয়েছে চবিতে। তবে চসিকের ছিটানো মশার ওষুধের কার্যকারিতা ও মান নিরীক্ষণের জন্য যে গবেষণার রসদ প্রয়োজন তা নেই চট্টগ্রামে। তাই সেগুলো নিয়ে ঢাকায় যেতে হবে। এসব কাজ করতে গিয়ে খরচ হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা। যার বাজেট তুলে দেওয়া হয়েছে মেয়র রেজাউলের হাতে।

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান সিভয়েসকে বলেন, ‘মশার ওষুধের মান পরীক্ষায় যে মেশিন প্রয়োজন তা চবিতে নেই। এমন কি পুরো চট্টগ্রামে নেই। তাই ঢাকায় যেতে হবে। আজ মেয়রকে তা জানানো হয়েছে। এ সময় মেয়রের হাতে দেড় লাখ টাকার সমপরিমাণ একটি বাজেট তুলে দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু আসা-যাওয়া আর ল্যাব চার্জ।’

এদিকে সাক্ষাতের সময় মেয়র রেজাউল বলেন, নগরে মশক নিধনে যে সব তরল ওষুধ বা পাউডার ছিটানো হয় তার কার্যকারিতা যাচাইয়ে চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে যে টিম গঠন করা হয়েছে তার প্রতিবেদন পাওয়া মাত্রই চসিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। আশা করি এ টিমের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে যে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তার সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে এবং তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ কাজে লাগিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় সফলতা নিশ্চিত হবে।

এ বিষয়ে মেয়র মহোদয়কে অবহিত করার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সব শিক্ষক ও ছাত্র বিদেশে গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের মেধা বিকাশ ও অর্জিত অভিজ্ঞান কাজে লাগাতে উপযুক্ত পরিবেশ ও অবকাঠামো থাকা খুবই প্রয়োজন। এই আবশ্যকতা পূরণে জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’  

তিনি আরও বলেন, ‘মশক নিধন কার্যক্রম জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ জন্য মশক নিধনের ওষুধ বা তরল প্রতিষেধকের কার্যকারিতা যাচাইয়ে যে দায়িত্ব আমার নেতৃত্বাধীন টিমকে দেওয়া হয়েছে তা পালনে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন, চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মুনিরুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. শহীদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর মো. ইয়াকুব, সহকারী অধ্যাপক কাজী মুহাম্মদ নুর সোহাদ প্রমুখ।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়