Cvoice24.com

মেট্রোরেল নয়, চট্টগ্রামে প্রয়োজন মনোরেল

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৯ মে ২০২১
মেট্রোরেল নয়, চট্টগ্রামে প্রয়োজন মনোরেল

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সড়কগুলোতে লেগেই থাকে তীব্র যানজট। বিশেষশত চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা ও তার আশপাশে যানজটের কারণে ভোগান্তির শেষ নেই মানুষের। চট্টগ্রামের পূর্ব অংশ কালুরঘাটের দিকেও একই অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের সাড়ে ৫৪ কিলোমিটার জুড়ে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। তবে মেট্রোরেল নয় এবার চলাফেরায় স্বস্তি ফেরাতে মনোরেল চালুর প্রস্তাব দিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (১৯ মে) দুপুরে চসিক মেয়র রেজাউল করিমের টাইগারপাস কার্যলয়ে এ প্রস্তাবনা তুলে দেয় চীনা প্রতিষ্ঠান উইহায় ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ কোম্পানী লিমিটেড ও চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডে ’র একটি টিম।

মেয়র মনোরেল চালু করতে কতদিন সময় লাগতে পারে, আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ, অর্থের সংস্থান, মেট্রোরেল ও  মনোরেলের মধ্যে পার্থক্যের বিষয় জানতে চান।

জবাবে প্রতিনিধি দলটি জানান, মেট্রোরেলের চেয়ে ৪০ শতাংশ সাশ্রয়ে মনোরল করা যায়। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে মনোরেল স্থাপন করে চালু করা সম্ভব। এছাড়া ব্যাপক জায়গার যেমন প্রয়োজনন হয়না তেমনি স্থাপনার ভেতর দিয়েও লাইনটি স্থাপন করা যায়। মনোরেলে চায়না ব্যয় ও ব্যবস্থাপনার আগ্রহের কথাও জানায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

মেয়র তাদের প্রস্তাবনা লিখিত আকারে জমা দেয়ার আহ্বান জানান। 
তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নগরের একে খান থেকে কর্ণফুলী ব্রিজ, কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত বিমান বন্দর, অক্সিজেন থেকে বিমান বন্দর, লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর এই চারটি রুটের উপর জরিপ ও পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে। এই দুটি প্রস্তাবনার উপর যাচাই- বাছাই করে জনসংখ্যার ঘনত্ব, সময় ও আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনা ও যাতায়ত ব্যবস্থাকে টেকসই করতে যদি মনোরেল চালু করলে ভালো হয় তবে তা অবশ্যই করা হবে ‘

এ সময় উইহায় ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কো- অপারেটিভ কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি মেং, চায়না রেলওয়ে কোম্পানীর মি. এরিখ, চসিকের প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. আব্দুল মান্নান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আশিকুল ইসলাম,  মাওয়া গ্রুপের আহনাফ আকিফ, দিদার আলম উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়