বাবুল আক্তার ফেনীতে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ২৯ মে ২০২১
বাবুল আক্তার ফেনীতে

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সকালে তাকে ফেনী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে অবস্থানের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে।'

বিশেষ কোনও কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে জেলার বলেন, ‘তেমন বিশেষ কোনও কারণ না। কর্তৃপক্ষ চেয়েছে তার অবস্থানটা ফেনী কারাগারে হোক। সেজন্য তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।’ 

গত ১৭ মে থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ওই দিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য হাজির করা হলেও তিনি শেষ মূহুর্তে গিয়ে মত পাল্টান। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। যদিও চট্টগ্রাম কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বাবুলের আইনজীবীরা আবেদন করলেও কারাবিধি তা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের প্রকাশ্য সড়কে গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই দিন রাতে তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। অনেকবার আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি ছিল না। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করতে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি ওই সময়ে। গোয়েন্দা পুলিশ এরআগেও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। 

গত ১১ মে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা মেলায় বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে আইনিভাবে বাদিকে গ্রেপ্তারের সুযোগ না থাকায় আদালতে তাকে হাজির করার পর ১২ মে মিতুর পিতার মোশাররফ হোসেনের করা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। একই সাথে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। 

গত ১২ মে মিতুর বাবার করা মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন— কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেসামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম, সাইফুল ইসলম সিকদার, শাহজাহান মিয়া। এদের মধ্যে ওয়াসিম ও আনোয়ার আগে থেকেই জেলে। সাকুকে ওই দিন রাতে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে এবং বাবুল আগে থেকেই পিবিআইয়ের হেফাজতে ছিল। এদের মধ্যে মুছাকে ২০১৬ সালের ২২ জুন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ থাকলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে বারবার। অন্যদিকে শুরু থেকে কালু অধরা। এছাড়া ভোলা ও শাহাজাহান জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়