চমেক হাসপাতালে বাড়লো ডায়ালাইসিস ফি, কিডনি রোগীদের বিক্ষোভ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ৮ জানুয়ারি ২০২৩
চমেক হাসপাতালে বাড়লো ডায়ালাইসিস ফি, কিডনি রোগীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছে কিডনি রোগীরা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু থাকা কিডনি ডায়ালাইসিস সেবার ফি ৫১০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৩৫ টাকা হওয়ায়, ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছে রোগীর স্বজনরা।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডায়ালাইসিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ীই প্রতি বছর ডায়ালাইসিস ফি ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো নির্ধারিত রেটের চেয়ে কমে ডায়ালাইসিস সুবিধা দেওয়ার পরও রোগীরা সরকারি ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছে। 

চমেক সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডায়ালাইসিসের প্রতি সেশনে সরকারি ফি ছিল ৫১০ টাকা এবং বেসরকারিভাবে প্রতি সেশনে ফি ছিল ২৭৯০ টাকা। এছাড়াও চমেকে সারা বছর মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র রোগীরা সাড়ে ছয়শ’ সেশন ফ্রিতে সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু নতুন বছরে ফি বাড়ানোর পরে হয়েছে ৫৩৫ টাকা আর বেসরকারি ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩০ টাকায়।

জানা যায়, গতকালও স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেছে রোগীর স্বজনরা। সেসময় হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন যুগ্মসচিব। এমন পরিস্থিতি দেখে তিনি ডায়ালাইসিস মেশিন কেনার কথাও জানান। তবে সেই মেশিন চমেক অথবা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহসান সিভয়েসকে বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ফি বাড়ে। এবছরও বেড়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের এবং দরিদ্র রোগীদের বছরজুড়ে সাড়ে ছয়শ’ সেশন ফ্রি সেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু বছর বছর আমাদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সেশন বাড়ছে না। এখন রোগী কতটা সেশন কোন সুবিধায় পাবেন তার শিডিউল জানতে এসে তারা ফি বাড়ানোর বিষয়টি জানে। আবার বেশি রোগী হওয়ায় অনেককে সেবা দিতে না পারায় তারা কিছু দাবি জানিয়েছে। বিষয়টা এই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারিতে ফির রেইট দুই হাজার নয়শ’ টাকা হলেও দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো হাসপাতাল ১৫শ থেকে ১৮শ' টাকার ভেতরে সেবা দিচ্ছে। মূলত এই কারণেই রোগীরা ক্ষেপেছেন। আমরা তো চুক্তির বাইরে যেতে পারছি না। তার উপর সেশনও নির্ধারিত। এখন সচিব মহোদয় মেশিন কেনার কথা জানিয়েছেন। সেটা চমেক অথবা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপন করা হতে পারে। সরকার যেখানে চাইবে যে হাসপাতালে চাইবে ডায়ালাইসিস মেশিন বসানো হবে।’

উল্লেখ্য, পিপিপি’র (পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রা.) লিমিটেড ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসের দুটি সেন্টার স্থাপন করে। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ৩১টি মেশিনে এ ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়