ঈদের ছুটিতে চুরি কম, মারামারি বেশি

রবিউল রবি, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১১:২১, ২০ এপ্রিল ২০২৪
ঈদের ছুটিতে চুরি কম, মারামারি বেশি

চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ বাসিন্দা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে চলে যান গ্রামের বাড়ি। এবার নববর্ষের ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ আট দিন ছুটি মেলে সবার। ফলে প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় নগর। ফাঁকা নগরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় আনন্দ মুহূর্তেই রূপ নেয় বিষাদে। প্রতিবার ঈদে বাসার গ্রিল কেটে, দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা, ফাঁকা রাস্তায় ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এবারের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। ঈদের ছুটিতে নগরজুড়ে চুরির ঘটনা কম, বেশি ছিল মারামারি! তবে ব্যতিক্রম ইপিজেড থানা। এখানে মামলা হয়নি একটিও। 

ঈদ-নববর্ষের ছুটিতে নগরের ১৪টি থানায় মামলা হয়েছে ৪০টিরও বেশি। এর মধ্যে চুরির মামলা হয়েছে অন্তত ৫টি, মারামারি সংক্রান্ত ১০টি। এই সময়ের মধ্যে নগরের বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলা হয়েছে ৬টি। এছাড়া আছে হত্যা, ছিনতাই, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ, দস্যুতা ও পর্নোগ্রাফির মামলাও। আবার, এই ছুটিতে একটিও মামলা হয়নি— রয়েছে এমন থানাও।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের ছুটিতে নগর ফাঁকা থাকায় অনেকাংশেই কমেছে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য। পাশাপাশি ঈদকে ঘিরে নগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার ছিল। ফলে, ছোটখাটো কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটেনি এবার ঈদের ছুটিতে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, খুলশী ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ঈদের ছুটিতে মোট মামলা হয়েছে ১২টি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মারামারির ঘটনায়। দুটি মামলা হয়েছে মাদক সংশ্লিষ্ট। এছাড়া চাঁদাবাজি, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, প্রতারণা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে একটি করে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা সিভয়েস২৪-কে জানান,  চলতি মাসে মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মারামারি সংক্রান্ত। ঈদের ছুটিতে দুটি মামলা হয়েছে থানায়। একটি অপহরণ এবং অপরটি মারামারির। এই সময়ে পুলিশি তৎপরতার কারণে অপরাধ প্রবণতা এবং মামলার সংখ্যা অনেক কম বলে মন্তব্য তাঁর।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির জানান, ঈদের ছুটিতে বড় ধরনের কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটেনি। ছিনতাই-চুরির ঘটনাও নেই। ঈদের ছুটিতে তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ পিস ইয়াবা জব্দের ঘটনায় একটি মাদক মামলা, একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এবং আরেকটি প্রতারণার অভিযোগে।

এই জোনে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয় খুলশী থানায়। ঈদের ছুটিতে এই থানায় মোট দুটি মামলা হয়েছে। তবে, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে কোনো মামলা হয়নি। দুটি মামলাই মারামারি সংক্রান্ত বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ। 

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিনহা সিভয়েস২৪-কে বলেছেন, ‘গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তার থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে ৫টি। যার মধ্যে ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে মাদক আইনে। বাকি দুটির মধ্যে একটি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি এবং পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের মামলা।

সিএমপি’র কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চকবাজার এবং সদরঘাট থানা নিয়ে গঠিত দক্ষিণ জোন। এই জোনের মোত তিনটি থানার তথ্য পাওয়া গেছে। এই তিন থানায় ঈদের ছুটিতে মোট মামলা হয়েছে ১০টি। যার মধ্যে ৩টি হয়েছে চুরির এবং ২টি মাদকের। বাকি ৫টির মধ্যে একটি করে মারামারি, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, দস্যুতা এবং নৌ-পুলিশের মামলা আছে। 

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম. ওবায়েদুল হক সিভয়েস২৪-কে জানান, ঈদের ছুটিতে মোট ৫টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। যার মধ্যে দুটি চুরির, একটি হত্যা, একটি মারামারি একটি এবং অপরটি নৌ-পুলিশের। দুটি চুরির ঘটনার মধ্যে একটি মোটরসাইকেল চুরি এবং অপরটি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা ১০ এপ্রিল এবং অপরটি ১২ এপ্রিল দায়ের করা হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে হত্যা মামলার ভিকটিমের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করেছি। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ থাকায় হত্যা মামলা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

এদিকে এই জোনের বাকলিয়া থানার মামলার তথ্য জানতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরিদর্শকের (তদন্ত) সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি। তাই এই থানা এলাকায় ঈদের ছুটিতে মামলা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে কয়েকটি চুরি, ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

তবে, এই জোনের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে তার থানায় মোট মামলা হয়েছে ৩টি। যার মধ্যে একটি করে নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক এবং চুরির মামলা রয়েছে।
 
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান সিভয়েস২৪-কে জানান, সদরঘাট থানায় মোট দুটি মামলা হয়েছে ঈদের ছুটিতে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল দস্যুতার চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। যে ঘটনায় অন্তত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ১১ এপ্রিল ফেন্সিডিল জব্দের ঘটনায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়েছে। 

সিএমপি’র ডবলমুরিং, হালিশহর, পাহাড়তলী এবং আকবর শাহ থানা নিয়ে পশ্চিম জোনে ঈদের ছুটিতে মোট মামলা হয়েছে মোট ১০টি। তবে এর মধ্যে পাহাড়তলী থানায় গত ১২ দিনেও হয়নি কোনো মামলা। থানাটিতে সবশেষ গত ৫ এপ্রিল মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল কাদের পাটোয়ারী সিভয়েস২৪-কে জানান, ঈদের ছুটিতে দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মারামারির অভিযোগে একটি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরেকটি। 

মামলার বিবরণে ওসি ফজলুল কাদের বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল পানির ট্যাংক এলাকার ডেবারপাড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে এবং ওই ঘটনায় একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 
সাধারণত ডবলমুরিং থানায় মাদকের মামলা বেশি হলেও চলতি মাসে তা খুবই কম বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এদিকে, হালিশহর থানায় ঈদের ছুটিতে অন্তত ৪টি মামলা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ। তবে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি নাকি অন্যকিছু— তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী জানান, ঈদের ছুটিতে তার থানায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলাই মারামারি সংক্রান্ত। বাকি একটি চুরির অভিযোগে হয়েছে।

সিএমপি’র পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মঈনুর রহমান সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘পাহাড়তলী থানায় চলতি মাসে মোট মামলা হয়েছে ৫টি। সবশেষ মামলা হয়েছে ৫ এপ্রিল। এরপর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আর কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। অর্থাৎ ঈদ-নববর্ষের ছুটিতে এই থানা এলাকা মামলা শূন্য ছিল।’

ঈদের সময় পুলিশি তৎপরতায় অপরাধ প্রবণতা কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জোন অর্থাৎ আকবরশাহ এবং পাহাড়তলী থানা এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষ বেশি। ফলে, চুরি সংক্রান্ত অপরাধ বেশি হয় এই দুই এলাকায়। অন্য বড় কোনো অপরাধ সচরাচর হয় না। আর ঈদের ছুটিতে আমাদের তৎপরতা অনেক বেশি ছিল। আমরা কেউ ছুটি কাটাইনি ঈদের সময়। সবাই যে যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় অপরাধের প্রবণতা কমে গেছে।’

সিএমপি’র বন্দর জোন ইপিজেড, বন্দর, পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী থানা নিয়ে গঠিত। এই জোনের বশিরভাগ বাসিন্দাই পোশাকশ্রমিক এবং নিম্নআয়ের মানুষ। জোনের বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড থানার তথ্য পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত), অপারেশন অফিসারের (সেকেন্ড অফিসার) সঙ্গে যোগাযোগ করেও তথ্য পাওয়া যায়নি।

বন্দর থানায় ঈদের ছুটিতে মোট ৪টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনজুর কাদের মজুমদার। তিনি জানান, ৪টি মামলার মধ্যে একটি বন্দরকেন্দ্রিক চুরির, দুটি মারামারির এবং একটি মামলা পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম জানান, পতেঙ্গায় কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা থাকায় ঈদের সময় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের দায়ের করা দুইটি এবং একটি মারামারিসহ মোট তিনটি মামলা রেকর্ড হয়েছে থানায়।

এদিকে ইপিজেড থানায় ঈদের ছুটিতে কোনো মামলাই হয়নি বলে জানিয়েছেন থানাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোছাইন। তিনি বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে আমার থানার বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করেছি আমি। ফলে, আমার এলাকায় অপরাধ প্রবণতা শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। তাই হয়তো মামলার সংখ্যা শূন্যের কোটায়।’

এদিকে, মামলার তথ্য জানতে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানিয়ে পরিদর্শকের (তদন্ত) সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। 

সেই অনুযায়ী থানাটির পরিদর্শক মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অপারেশন অফিসারের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে, অপারেশন অফিসারের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই এই থানার মামলার তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। 

ঈদের ছুটিতে অপরাধ কমে আসার কারণ জানিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘ঈদের সময় ফাঁকা নগরীতে অপরাধ ঠেকাতে আমরা বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়া বাসিন্দাদের জানিয়েছিলাম তারা যেন শহর ছাড়ার আগে বাসা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যায়। এছাড়া আমরা অনেক জায়গায় টেম্পরারি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমরা আগে থেকে যেহেতু জনগণকে সচেতন করেছি সেহেতু অপরাধের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।’

মামলা কম হওয়ার আরেকটি কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকসময় দেখা যায় মানুষ অভিযোগ করতে আসে না ঈদের সময়। ঈদের অনেক পরেও আসে। তবে ঈদের ছুটির পরে অভিযোগ করলেও আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিই আমরা। একেবারেই যে অকারেন্স হয়নি এমনটা নয়।’

মারামারির মামলা বেশি হওয়ার কারণ জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের পরিবার অথবা আশেপাশের প্রতিবেশীদের সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থাকে। আর এসব সমস্যা থেকেই মারামারির ঘটনাগুলো উদ্ভূত হয়। তবে অনেকসময় শক্তি প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক মারামারিও হয়। কিন্তু ঈদের সময় জায়গা-জমি সংক্রান্ত ঘটনাই বেশি থাকে।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘ঈদ ও নববর্ষের ছুটিতে হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে কতগুলো মামলার আসামিকে আইনের আওতায় আনা গেছে এটার ওপর নির্ভর করে বলতে হবে আসলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিরাপত্তা ঠিকভাবে দিতে পেরেছে কিনা। যদি দেখা যায়, বেশিরভাগ ঘটনাগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরের বাইরে ছিল, তবে বলতে হবে তারা (পুলিশ) সফল হয়নি। অনেকসময় ঘটনা ঘটলেও ভুক্তভোগীরা থানায় যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি সবগুলো ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওতায় চলে আসা উচিত। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেছে কিন্তু তাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) জানা নেই এমন হলে বলতে হবে তারা তাদের উপস্থিতি ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেনি।’

মামলা বা অভিযোগ করলেও অনেক সময় ফল পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকসময় মানুষ থানায় যাওয়াকে ঝামেলা মনে করে। আবার থানায় গিয়ে মামলা বা অভিযোগ করলেও ফল পায় না। সেক্ষত্রে মানুষ ভিকটিম হলেও থানায় যেতে নিরুৎসাহিত হয়।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়