Cvoice24.com

নদভী জামায়াত-শিবিরের ছায়া

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৩, ২৪ মার্চ ২০২৪
নদভী জামায়াত-শিবিরের ছায়া

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা নদভী যত্রতত্র জামায়াতের ভূত দেখছেন বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব সিআইপি। আওয়ামী লীগের টিকিটে দুবার এমপি হওয়া নদভী তাদের জামায়াতের জুজুর ভয় দেখাচ্ছেন বলেও মত তাঁর। 

রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য এম এম মোতালেব এসব মন্তব্য করেন। দুদিন আগে সাবেক এমপি নদভীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে ‘দলবল’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন এমপি মোতালেবের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মোতালেবের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ এনে সাবেক সংসদ সদস্য নদভী বলেন, ‘মোতালেব স্বতন্ত্র না কি জামায়াতের এমপি বোঝা যাচ্ছে না।’ এদিন তিনি ‘সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগ নেই, সবাই জামায়াত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এম এ মোতালেব এমপি বলেন, ‘নদভী সাহেবের সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, তিনি যত্রতত্র জামায়াতের ভূত দেখছেন। এটা দেখা স্বাভাবিক। কারণ, তার অতীত বর্তমানের সঙ্গে জামায়াতের ছায়া প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। নদভী জামায়াত-শিবিরের ছায়া। তার হাতেই সর্বোচ্চ সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। চট্টগ্রামের আর কোনো এমপি ছিল না যার হাতে এত বেশি সংখ্যক নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন তিনি তা অস্বীকার করতে চান।’


নদভী জামায়াত জুজুর ভীতি ছড়াচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি এখন হরতাল অবরোধ করার মতো ক্ষমতা রাখে না। আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে তারা সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এলাকায় কোণঠাসা। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী জামায়াতের জুজুর ভয় দেখাচ্ছেন। জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা তো তিনিই ক্ষমতায় থাকতে করেছেন। আর এখন মায়াকান্না করছেন।’

‘আমার পরিবারের সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আস্থাশীল। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি নির্দেশনা মেনে চলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং, পরিবার তুলে বিদ্রুপ করে মূলত তিনি আমার মানহানির চেষ্টা করেছেন। আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।'-যোগ করেন মোতালেব।

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (নদভী) ছয় খুনের মিথ্যা গল্প ফেঁদেছেন। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া দুই থানার ওসি এ বক্তব্য প্রত্যাখান করেছেন। নদভী সাহেব এওচিয়া ইউনিয়নের শনখোলা গ্রামে একজনের মালিকাধীন একটি ব্রিকফিল্ড অন্যজনের নামে লিখে দিয়ে রাতারাতি ইট লুট করেছিলেন। টিআর ও কাবিখা প্রকল্প এমনভাবে বণ্টন করেছিলেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন যাতে তার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। তার ক্ষমতার দাপটের সামনে পিআইও ও ইউএনও ছিল অসহায়। সরকারি প্রকল্প নয়-ছয় করে, ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

সংসদ সদস্য থাকার সময় নদভীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে মোতালেব বলেন, ‘আমি যেসব সন্ত্রাসী, চোর-বাটপারদের ইতোমধ্যে দমন করেছি, তাদের পক্ষ নিয়েই নদভী ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অসংলগ্ন প্রলাপের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে চেয়েছেন। নদভীর কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে এবং দুর্নীতির বিচার চেয়ে বিশাল মানববন্ধন হয়েছে। তারা সবাই ছিল উনার পাড়া-প্রতিবেশি। যারা উনার হাতে নির্যাতিত এবং ভাইপো সেলিম চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিল।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়