চুয়েটের গবেষণা/
চট্টগ্রাম সিটির ৫ ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ পানিতে বিষাক্ত ধাতু

শারমিন রিমা

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৪ মার্চ ২০২২
চট্টগ্রাম সিটির ৫ ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ পানিতে বিষাক্ত ধাতু

চসিকের ২৪, ২৭, ২৮, ৩০, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ভূগর্ভে ভারী ধাতুযুক্ত বিষাক্ত পানি

পানিতে কিছু কিছু মৌল এমন সূক্ষ পরিমাণে দ্রবীভূত থাকে যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এদের উপস্থিতি শনাক্ত করা গেলেও পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। তাদেরকে ওই পানির নমুনায় দ্রবীভূত ভৌত উপাদান বলা হয়ে থাকে। আর এ ধরনের মৌল সাধারণভাবে জীবের জন্য ক্ষতিকারকই নয় বরং বিষ হিসেবেই পরিচিত। আর সেই বিষের অস্তিত্ব মিলেছে চট্টগ্রাম নগরের ভূগর্ভস্থ পানিতে!

চট্টগ্রাম নগরের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে গবেষণা চালায় চুয়েটের একদল গবেষক। সেই গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে ৫টি ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ পানিতে এ ধাতু। তারমধ্যে মানবদেহের জন্য দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ (টিডিএস), আয়রন এবং ক্লোরাইডের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি চসিকের ২৪, ২৭, ২৮, ৩০ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ পানিতে। নগরের ভূগর্ভস্থ পানির নমুনা নিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

পানিতে ভৌত উপাদানের মধ্যে রয়েছে— লেড, ক্যাডমিয়াম, মারকারি ও আর্সেনিক। কোন নির্দিষ্ট আয়তনের পানিতে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, লবণ অথবা ধাতব আয়নের মোট দ্রবীভূত পরিমাণকে পানির মোট দ্রবীভূত কঠিন (টিডিএস) বলে। উচ্চ মাত্রায় পানিতে টিডিএসের মাত্রা পাওয়া গেলে বুঝতে হবে পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে এবং অতি শিগগিরই এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের দেহে যখন এগুলো প্রবেশ করে তখন ক্যান্সারের মত অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। অথচ পানি সংক্রান্ত সরকারের নানা সংস্থা থাকলেও ভূগর্ভস্থ পানির সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার জন্য স্বতন্ত্র কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আবার পানি নিয়ে সরকারি যে প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের মধ্যেও সমন্বয় নেই। আর এ কারণে দিনকে দিন নগরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দূষিতও হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ভূগর্ভে একবার বিষাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা পরিশোধন করা খুবই কঠিন।’

ভূগর্ভস্থ পানিতে বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতি প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গবেষক দলের একজন সিভয়েসকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডের ভূগর্ভে পানি নিয়ে গবেষণা করা হয়। এরমধ্যে চসিকের ৩২, ৩০, ২৮, ২৭ এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিডিএস (দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ), আয়রন এবং ক্লোরাইডের পরিমাণ বেশি। আরেক গবেষণায় শহরে পানি সরবরাহ পাইপ থেকে নির্ধারিত ২০টি স্থানের পানির গুণগত মান যাচাই করে দেখা যায় পানির ফিজিক্যাল ও ক্যামিকেল বৈশিষ্ট্য থেকে বায়োলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যতে অনেক তারতম্য ঘটছে। যেহেতু বেশির ভাগ পানির লাইন খোলা ড্রেন বা উন্মুক্ত ল্যাট্রিন এর কাছে অবস্থিত, খুব সহজেই দূষণ সংক্রমিত হয়। সেখানে এফসি (ফেকাল কলিফর্ম) এর আধিক্য বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে যার সঙ্গে পানিবাহিত রোগের সংক্রামণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ওয়াসার নষ্ট মিটার যেন ‘সোনার হরিণ’

গবেষণায় বিভিন্ন ঋতুতে পানির গুণগত মানের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে তার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে খোলা ড্রেন বা উন্মুক্ত ল্যাট্রিন এর বর্জ্য দ্রুত দ্রবীভূত হয়। প্রয়োজনীয়ভাবে পরিশোধন না হলে সরবরাহকৃত এসব পানি স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। এছাড়া, ভূগর্ভে শহরের পানি সরবরাহ পাইপলাইন এ কোন ফাটল বা ছিদ্র থাকলে খুব সহজে তা ভয়াবহ হয়ে ওঠে।’

ভূগর্ভস্থ পানিতে ভারী বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতি জনস্বাস্থ্যে কতটা প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জহীর উদ্দিন দেওয়ান বলেন, ‘পানিতে বিভিন্ন অজৈব উপাদানঘটিত দূষণ, যেমন- সীসা জনিত দূষণের ফলে মস্তিস্কের কোষ বিনষ্ট, রক্তচাপ বৃদ্ধি, গর্ভপাত বা মৃত সন্তান প্রসব, শিশুদের আইকিউ হ্রাস ঘটে থাকে। মারকারি জনিত দূষণের ফলে মানসিক দুর্বলভাব, হাত ও পা অসাড় হয়ে পড়া, দৃষ্টিহীনতা, বধিরত্ব, ভ্রুণ বা মস্তিষ্কের অসম্পূর্ণ বৃদ্ধি ইত্যাদি ঘটে থাকে। ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, বৃক্ক ও ফুসফুসের স্বাভাবিক ক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়া, অস্থির ভঙ্গুর হওয়া ও অস্থির সংযোগস্থলে ব্যথা অনুভব করাসহ বিভিন্ন রোগ ও রোগের উপসর্গের সৃষ্টি হয়। সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আয়রনযুক্ত পানি পান করলে হাড়ে ইনফেকশন ও লিভার সিরোসিসসহ মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হয়। দেহের বিভিন্ন স্থানে আয়রন জমা হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে। আবার অনেক সময় খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের দেহে যখন এগুলো প্রবেশ করে তখন ক্যান্সারের মত অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।’

এদিকে, নগরের ২০টি স্থানের ভূগর্ভস্থ পানির নমুনা নিয়ে ‘শহরব্যাপী পানি বিতরণে পানির গুণমানের প্রবণতা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক চুয়েটের আরেকটি গবেষণা প্রকাশিত হয় গত বছরে। সেই গবেষণায় দেখা যায়, পানির জৈব ও ভৌত রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য থেকে প্রাণ রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যতে অনেক তারতম্য ঘটছে। কারণ বেশিরভাগ পানির পাইপলাইন খোলা ড্রেন বা উন্মুক্ত ল্যাট্রিন এর কাছে অবস্থিত। তাই খুব সহজেই দূষণ হয়। সুপেয় পানিতে টোটাল কলিফর্ম পানিবাহিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। আর এ কারণে ফেকাল কলিফর্ম এর আধিক্য বেশি দেখা গেছে গবেষণায়। এসকল পানি সরবরাহকারী পাইপলাইনে এ কারণে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও গবেষণায় বলা হয়। এসকল স্থানের সরবরাহকৃত পানি গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীত মৌসুমে পানির পরামিতিগুলোর উঠানামা উচ্চ হারে দেখা যায়।

সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পরিশোধিত পানি শহরব্যাপী বিতরণ ব্যবস্থায় সরবরাহ করা হয়। পাইপলাইনে পানির জৈব দূষণকারী ধাতু পানির অকার্যকরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। পানি সরবরাহের পাইপলাইনের ক্ষয় পানিতে মোট আয়রনের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে। আবার পাইপলাইনের মধ্যে দূষক (অণুজীব দূষক, যেমন, মল থেকে ব্যাকটেরিয়া) অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। এর বাইরে পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিষাক্ত এবং মানব বর্জ্য জীবাণু ফুটো পাইপের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এছাড়াও, ঋতুগত তারতম্য, পাইপের উপাদান, পাইপের আকার, পাইপের বয়স এবং জীবাণু সরবরাহকৃত পানির গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে।

গবেষণাটি ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওয়াসার সরবরাহকৃত পানির নমুনা নিয়ে পরিচালিত হয়। নগরের ২০ স্থানের ওয়াসার সরবরাহকৃত পানির আটটি গুণমানের প্যারামিটার এ গবেষণায় তুলে ধরা হয়।

গবেষণায় বলা হয়, ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে পাইপ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শহরে ৩৯৭ কিলোমিটার পাইপ রয়েছে। এসব পাইপের মধ্যে ৭১ দশমিক ২৮ শতাংশ পিভিসি। ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ অ্যাসবেস্টস, ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ হালকা ইস্পাতের, ২ দশমিক ১৭ শতাংশ নমনীয়, শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ ঢালাই লোহা। আবার এসকল পাইপের মধ্যে ৩০ বছরের বেশি বয়সী পাইপ রয়েছে ২০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ পাইপ। ২৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ পাইপ ১০ থেকে ২০ বছরের পুরোনো। ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ পাইপ তুলনামূলকভাবে নতুন। তবে তাও শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে।

আন্দরকিল্লাহর চৌরঙ্গি হোটেলের সামনে ও ওয়েল ফুডের সামনে, জামালখানের সিকদার হোটেলের সামনে ও প্রেসক্লাবের সামনে, আসকারদিঘির পাড়ের ডিসেন্ট ফার্নিচারের সামনে ও আসকার দিঘির পশ্চিম পাশে, এবং বড়পুল মোড় ও হালিশহর বাস স্টান্ডের সামনের পাইপগুলো হচ্ছে পিভিসি পাইপের। হালিশহর আই ব্লক, হালিশহর নিউ এ ব্লকের পাইপ হচ্ছে নমনীয় লোহার পাইপ। রহমতগঞ্জ কৃষ্ণ কুমারি স্কুলের সামনে, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ পাবলিক স্কুল, বেপারিপাড়া, হালিশহর এ ব্লকের পাইপগুলো হচ্ছে হালকা ইস্পাতের। আন্দরকিল্লাহর রাজাপুকুর লেইনের সামনে, রহমতগঞ্জ জামে মসজিদ, জামালখানের নুর অপটিক্যালের সামনে, ও সিডিএর নাহিয়ান মাকের্টের সামনের পাইপলাইনে অ্যাসবেস্টস সিমেন্ট রয়েছে।

অন্যদিকে, আন্দরকিল্লাহর রাজাপুকুর লেইনে, ওয়েল ফুড, রহমতগঞ্জ জামে মসজিদ, জামালখানের নুর অপটিক্যালের সামনে, আসকারদিঘির পাড়ের ডিসেন্ট ফার্নিচারের সামনে, আগ্রাবাদ সিডিএ পাবলিক স্কুল, বেপারিপাড়া, ১০ নম্বর রোড হালিশহর এবং হালিশহর নিউ এ ব্লকের পাইপলাইনগুলো হচ্ছে ৩০ বছরের বেশি বয়সী পাইপলাইন। রহমতগঞ্জ কৃষ্ণ কুমারি স্কুলের সামনে ও আসকারদিঘির পশ্চিম পাশের পাইপলাইনগুলোর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আন্দরকিল্লাহর চৌরঙ্গি হোটেলের সামনে, জামালখানের সিকদার হোটেলের সামনে এবং প্রেস ক্লাবের সামনের পাইপলাইনের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। আগ্রাবাদ সিডিএ পাবলিক স্কুল, বড়পুল মোড়, হালিশহর বাস স্ট্যান্ড, হালিশহর এ ব্লক এবং হালিশহর আই ব্লকের পাইপলাইনের বয়স শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে।

গবেষণায় দেখা যায়, পাইপলাইনের সরবরাহকৃত পানির গুণমান ২০১৭ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে শুরু করে। ২০১৮ সাল থেকে নিম্নমানের পানির গুণমানের এলাকা বাড়তে থাকে যা পুরো বিতরণ লাইনের ১৭ শতাংশ জুড়ে। পরবর্তীতে যা বেড়ে ২১ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০২০ সালে এসে পুরো বিতরণ লাইনের ২৬ শতাংশ পাইপলাইনের পানির মান খারাপ দেখায়। অর্থাৎ এ কারণে বিভিন্ন মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানিতে বিষাক্ত ধাতুর অনুপ্রবেশ ঘটে থাকে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটে বর্ষাকালে। বর্ষাকালে ২০টি স্থানের মধ্যে ১০ স্থানেই ক্লোরাইডের উপস্থিতি বেশি ছিল। গ্রীষ্মকালে ৪ স্থানে এবং শীতকালে ৬ স্থানে পানির গুণমান যথেষ্ট খারাপ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ২০১৭ সাল থেকে পাইপলাইনে পানির পরামিতি পিএইচ স্তর বাড়তে শুরু করে, অর্থাৎ উৎসের পানির চেয়ে বেশি ক্ষারীয় পানি পাওয়া যায়। আবার এ পানিতে পাওয়া ক্লোরাইড প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে পারে, তবে এটি স্থানীয় ডি-আইসিং লবণ এবং লবণাক্ত অনুপ্রবেশের কারণে হতে পারে। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে ক্লোরাইডের পরিমাণ বেশি থাকে। তবে ২০২০ সালে পাইপলাইনে উচ্চমাত্রার ক্লোরাইড ঘনত্ব রেকর্ড করা হয় গবেষণায়।

ওই গবেষক আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই গবেষণায় চট্টগ্রাম শহরে একমাত্র পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ওয়াসার বিভিন্ন জায়গার ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের পানি নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে এই ২০টি জায়গায় পানি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর স্যাম্পল কালেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় এসকল জায়গায় পানির মান এনালাইসিস করে দেখা যায় যে ঋতুভেদে পানির বিভিন্ন উপাদানের মান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। গবেষণা চলাকালীন পানির মোট ৮টি প্যারামিটার নিয়ে কাজ করা হয়েছিল। তন্মধ্যে বর্ষাকালে সর্বোচ্চ টারবিডিটি পাওয়া গিয়েছিল ৪৫ এনটিউ। সর্বোচ্চ টোটাল কলিফর্ম (টিসি) পাওয়া গিয়েছিল ৮/১০০ এমএল এবং ক্লোরাইডের মাত্রা (৮৭৫ মিলিগ্রাম পার লিটার) গ্রীষ্ম এবং শীতকালে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি পাওয়া গিয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্লোরাইড ক্ষতিকারক না হলেও নিয়মিত হারে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্লোরাইড গ্রহণ করলে হাইপারক্লোরোমিয়া হতে পারে এবং টোটাল কলিফর্মের কারণে পানিবাহিত ও ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়