Cvoice24.com

ফটিকছড়ির ইউএনও’র মোবাইল ক্লোন করে চাঁদা দাবি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ২৬ জুলাই ২০২১
ফটিকছড়ির ইউএনও’র মোবাইল ক্লোন করে চাঁদা দাবি

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইল ফোন নাম্বর ক্লোন করে তাঁর নাম ভাঙ্গিয়ে দুটি মুঠোফোন নাম্বার থেকে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা দাবি করছে প্রতারক চক্র।

শনিবার রাতে দুই জন জনপ্রতিনিধি ও একজন ব্যাংকের ব্যাবস্থাপকের কাছ থেকে টাকা দাবির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব এবং আমাকে ইউএনও মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব নাম্বার থেকে ফোন করে জানানো হয় যে- আপনার এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানের জন্য সরকার ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। এ খবর শুনে আমি আনন্দিত হই। পরে বিষটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউপি সদস্যকেও অবগত করি এবং সত্যতা যাচাই করার জন্য বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে রাতেই জানানো হয়। কথার একপর্যায়ে চক্রটি বলেন, প্রকল্পটি পেতে সরকারি ৪৩ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। সে টাকা আরেকটি নম্বরে দেওয়ার কথা বললে আমার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাই এবং বিষয়টি প্রতারণা বলে নিশ্চিত হই।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, ‘আমার নাম ভাঙ্গিয়ে ০১৮৯১৬০১৬৭৮ এবং ০১৮৭২৮৪৮৩৯৮ নম্বর থেকে টাকা দাবি করেছে একটি চক্র। এরমধ্যে একজন সোনালী ব্যাংক বিবিরহাট শাখার ব্যবস্থাপক ও দুইজন লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি ওসিকে জানিয়েছি এবং ওই দুইটি নম্বর অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছি। কোন ইউএনও এভাবে টাকা চাইতে পারেন না। এটা মানুষকে বুঝতে হবে।'

এর আগে গত ১৯ জুলাই ইউএনওর সরকারি ও ব্যক্তিগত দুইটি নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধি ও ইউপি সচিবের কাছে টাকা দাবি করেছিল।

রোসাংগিরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম শোয়েব আল ছালেহীন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মুহাম্মদ জাকারিয়াকে ইউএনও মহোদয়ের সরকারি নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের একটি বড় প্রকল্প রোসাংগিরি এলাকায় দেওয়া হবে এবং প্রকল্প পেতে সরকারি ১৫ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এই টাকা আরেকটি নম্বরে দেয়ার কথা বললে সচিবের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তিনি আমাকে জানালে আমি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি প্রতারণা বলে নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছি।’

ইউএনও মো. মহিনুল বলেন, বিভিন্ন এলাকায় এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে একটি চক্র বিভিন্ন জন থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানাই। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়