বিনা উস্কানিতে তাণ্ডব চালায় হেফাজত
সিভয়েস প্রতিবেদক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় আসায় বিক্ষোভ করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তাদের সবাই হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। বিনা উস্কানিতেই তারা এমন উগ্রকাণ্ড ঘটান।
শুক্রবার জুমার নামাজের পরই হাটহাজারী মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাটহাজারী মাদরাসা থেকে মোদি বিরোধী মিছিল নিয়ে থানার সামনে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে হেফাজতের কর্মীরা। মিছিল থেকে হঠাৎ ছাত্ররা থানার সামনে গিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। থানার সামনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এরপর তারা উপজেলা ভূমি অফিস ও ডাকবাংলোতে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। ভূমি অফিসের গাড়ি ও আসবাবপত্রে আগুন দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ প্রথমে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। ছাত্রদের ছোঁড়া ইট-পাথরের টুকরায় থানার সামনের কাঁচের দরজা ভেঙে যায়। বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় দুই পুলিশসদস্যসহ হেফাজত কর্মীরা।
সংঘর্ষের ঘটনায় মাদ্রাসার সামনে আটকে পড়েন পাঁচ পুলিশ সদস্য। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, থানায় হামলার পর তারা ভূমি অফিসে ঢুকেও ভাঙচুর করেছে। ভূমি অফিসের ফাইল-আসবাবপত্র সব জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভূমি অফিসের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
তিনি বলেন, শুধু ভূমি অফিস নয়, উপজেলার ডাক বাংলোতে ঢুকেও ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন হামলাকারীরা। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে সেখানেও হামলা করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসারা তাদের চিকিৎসা দিতে অপরাগতা জানান। যদিও হেফাজতের আমির এরজন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন।