হাটহাজারীতে হেফাজতের সমাবেশ
‘ইসকন শুধু জঙ্গি নয়, রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠনও’
হাটহাজারী প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ ও চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলার ডাকবাংলো চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শাখার সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ আসাদের যৌথ সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা শফিউল আলম, নূর মোহাম্মদ, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ, মোরশেদ আলম, মাওলানা, এডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল, হাফেজ আমিনুল হক, মাওলানা জাহাঙ্গীর জাফরাবাদী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবী, আবু তাহের রাজিব মাওলানা হাফেজ মহিউদ্দিন, মো. রাশেদ, মাওলানা ফোরকান আলী, মাওলানা হাফেজ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা মো.জিয়াউল হক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, ইসকন একটি আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন। সর্বশেষ আদালতের কাজে বাধা প্রদান এবং রাষ্ট্রপক্ষের একজন স্বনামধন্য আইনজীবীকে আদালত প্রাঙ্গণে নির্মমভাবে হত্যা করে তার প্রমাণ দিয়েছে সংগঠনটি ৷ সুতরাং সরকারের প্রতি আমাদের দাবি, এ মুহূর্তে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা এবং আইনজীবী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।
বক্তারা আরো বলেন, ইসকন শুধু জঙ্গি সংগঠন নয়; বরং এটি রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন। তাদের কার্যক্রম দেখে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়। ভিনদেশী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠন। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া সন্ত্রাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওরফে চন্দন ধর একজন সাম্প্রদায়িক, ভূমিদস্যু এবং দেশদ্রোহী।
‘হাটহাজারীর পুন্ড্ররিকধামে ধর্মীয় আচার শিখানোর নামে সে শিশু-কিশোরদের যৌন নির্যাতন চালানোর অসংখ্য প্রমাণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাছাড়া সেখানে পতিত ফ্যাসিস্টের লালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়েছে মর্মে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত ও পুন্ড্ররিকধামে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি।’
এছাড়াও চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের নিন্দা প্রকাশের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কাকে গ্রেপ্তার করবে, কাকে ছাড়বে এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এখানে ভিন্ন কোনো রাষ্ট্র মাথা ঘামানোর অধিকার রাখে না। একজন রাষ্ট্রদ্রোহীর পক্ষে কথা বলে ভারত এ দেশে ঔপনিবেশবাদ কায়েম করতে চায়।
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল ডাকবাংলো থেকে শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ড কলেজ গেট কাচারি সড়ক হয়ে পুনরায় হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে এসে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।