পটিয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার মামলায় রফিক হাসান (৪৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত এগারোটার দিকে পৌরসভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়. গত ১০ এপ্রিল রাত ১১:২৪ টার দিকে সাইফুল্লাহ পলাশ (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশ আহত সাইফুল্লাহ পলাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যান। এ সময় নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই মারধর ও হাসপাতালের সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন (১১ এপ্রিল) রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী প্রকাশ বাহাদুর বাদি হয়ে এ ঘটনায় পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সৈয়দ, মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপুসহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করে রফিক হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পটিয়া উপজেলা চত্বরে পটিয়া ডক্টর ক্লাব, পটিয়া সম্মিলিত চিকিৎসক পরিষদ, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রশিদ আলমদার, ডক্টর ক্লাবের সমন্বয়ক ডা. হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, পটিয়ার সম্মিলিত চিকিৎসক পরিষদের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক ডা এ কে এম মহিউদ্দিন মানিক, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট ডা. কাজী ফারহানা নূর ও মেডিকেল অফিসার ডা সাজ্জাদ ওসমানসহ পটিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও পটিয়া শেভরণ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসাররা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা এবং চিকিৎকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।