Cvoice24.com

বসুন্ধরার চেয়ারম্যান এমডিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পটিয়ার হুইপের মানহানির মামলা 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ১৮ আগস্ট ২০২১
বসুন্ধরার চেয়ারম্যান এমডিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পটিয়ার হুইপের মানহানির মামলা 

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবাহান ও এমডি সায়েম সোবাহান আনভীর।

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবাহান, এমডি সায়েম সোবাহান আনভীর এবং তাদের মালিকানাধীন গণমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। 

বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন— বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টি ফোরের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, কালের কণ্ঠের এস এম রানা এবং বাংলানিউজের সম্পাদক। 

বাদী পক্ষের আইনজীবী পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী দীপক কুমার শীল বলেন, ‘হুইপ ও তাঁর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনসহ পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক ভিত্তিহীন, কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করছে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম। ব্যক্তিগত আক্রোশ ও শত্রুতামূলকভাবে মালিকের নির্দেশে দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলা নিউজ ২৪ এবং টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪ একতরফা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে চলছে। এসব সংবাদমাধ্যম ১০০টির বেশি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্মানহানি করেছে। এতে হুইপ ও তাঁর পরিবারের শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।’

হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন,‘বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন মিডিয়ায় গত দুই বছর ধরে আমাদের বিরুদ্ধে একতরফা সংবাদ প্রচার করছে। আমি অনেক ধৈর্য ধরেছি। তাঁদের আইনি নোটিশ দিয়েছি, সেটিও তাঁরা প্রচার করেনি। এখন বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। ভবিষ্যতেও তাঁরা যা করবে তার উপযুক্ত আইনি জবাব পাবে। আমি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার সঙ্গে অনেকের সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু অপপ্রচারের কারণে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলো।’

হুইপ পুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুন বলেন, ‘সাংবাদিকদের সাথে আমার ব্যাক্তিগতভাবে কোন বিরোধ নেই। তারা তাদের মালিকের কথা মত আমি ও আমার লিখছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে‘ বিবেক বাধা দিচ্ছে কারণ তারা মালিকের নির্দেশের বাইরে কিছুই করতে পারে না কিন্তু এরকম সংঘবদ্ধ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। প্রেস কাউন্সিলেও অভিযোগ দায়ের করব।’

মিডিয়া মালিকের ইচ্ছা ও ব্যক্তিগত শত্রুতার উদ্দেশ্যে সংবাদপত্রের ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য শারুন।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়