চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)
সামশুলের গাড়িবহরে হামলা, লিটনসহ গ্রেপ্তার ৫

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
সামশুলের গাড়িবহরে হামলা, লিটনসহ গ্রেপ্তার ৫

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলা ও গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

শনিবার রাতে কুসুমুপুরা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, প্রধান আসামি প্রজ্ঞাজ্যোতি বড়ুয়া লিটন, তাঁর সহযোগী মইন উদ্দিন মনির (৪৮), মাহমুদুল হাছান মিছবাহ (২৫), নাফিক ইকবাল (২২) ও সাদমান বিন আসা (১৮)। 

এর মধ্যে লিটন বড়ুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং অন্য চারজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, লিটন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে পটিয়ার গৈড়লা গ্রামে সংঘটিত ডাবল মার্ডার মামলাসহ এক ডজনেরও বেশি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় সাজা হলেও পরে তিনি জামিনে বের হন।

পটিয়ায় শনিবার হুইপের গাড়িবহরে দুই দফা হামলার ঘটনায় পটিয়া থানায় দুটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।  এর মধ্যে একটি অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।   

হুইপের ভাই মজিবুল হক চৌধুরী এই মামলার বাদী। এতে প্রজ্ঞাজ্যোতি বড়ুয়া লিটনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনকে সুনির্দিষ্ট আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৫০/৬০ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঈগল প্রতীকের প্রচারণা ও গণসংযোগ করছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তারা কুসুমপুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পানওয়ালাপাড়ায় পৌঁছালে লিটন বড়ুয়ার নেতৃত্বে এজাহারভুক্ত আসামি ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা হুইপের গাড়িবহরে হামলা করে। ঈগলের কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। কাউকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় প্রার্থীর বোন রেখা চৌধুরীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁর মাথায় ও বুকে আঘাত করা হয়। ওই ঘটনায় রামদা কিরিচ লোহার রড নিয়ে ঈগল প্রতীকের ১৫/২০ জন কর্মীর ওপর হামলা করে আসামিরা। ৮টি গাড়ি ভাংচুর করে। আহতদের মধ্যে ৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এজাহারে কোথাও আসামিরা নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক উল্লেখ না থাকলেও গণমাধ্যমকে তারা বলেছেন, নৌকা প্রার্থীর নির্দেশেই ঈগল প্রার্থী ও তার কর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা করা হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াতে এবং তারা যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রচারণার শুরু থেকেই হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়