বিএম ডিপোতে ৮ হাজার রপ্তানীমুখী পোশাকপণ্য ছিল: বিজিএমইএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৫ জুন ২০২২
বিএম ডিপোতে ৮ হাজার রপ্তানীমুখী পোশাকপণ্য ছিল: বিজিএমইএ

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী

পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেছেন, নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলোর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় এ ডিপোতে। আমাদের পোশাক খাতের প্রায় ৮ হাজার কনটেইনার ছিল এখানে।

রোববার (৫ জুন) ভাটিয়ারি এলাকার বিএম ডিপো পরিদর্শনে এলে সিভয়েসকে তিনি এসব তথ্য দেন।

রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, বিএম ডিপোতে এইচএনএম, ডিএইচএল, সিএনএ এর মত নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের কার্গো আছে। ডিপোটা ২৪ একর জায়গা জুড়ে। এখানে প্রতিদিন ৭শ থেকে ৮শ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। আমরা পোশাক রপ্তানিকারকদের সাথে কথা বলার জন্য একটা সেল গঠন করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের কি পরিমাণ পোশাকপণ্য ছিল, কত টাকার পণ্য ছিল তা বলা সম্ভব হবে। এ কারণে আমরা বিএম ডিপোতে ১ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত কি পরিমাণ কার্গো হ্যান্ডেল করা হয়েছে সে তথ্য আমরা নিচ্ছি।

বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, এখন ক্ষয়-ক্ষতি পরিমাপের চাইতে নিরাপত্তারর বিষয়ে ভাবতে হবে। আমাদের যে ভাইরা এখানে কাজ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাদের এখন উদ্ধার করাটা জরুরি।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। ডিপোটির মালিক স্মার্ট গ্রুপের এমডি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। 

ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও ফেনীর দেড়শো সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধে আহত ও মৃতদের আনা নেওয়ার কাজে চারটি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে। 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়